আলমডাঙ্গার চিলাভালকি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের আহত ১৪ : গ্রামে টানটান উত্তেজনা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি/ঘোলদাড়ী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নাগদহের চিলাভালকি গ্রামে ঈদগাহের রাস্তা নিয়ে গ্রামের দু পক্ষের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটেছে। গতকাল সকালে গ্রামের দু গ্রুপের সংঘর্সে ১৪ জন আহত হয়েছে। কয়েজনকে নেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বর্তমানে গ্রামে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করেছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নাগদহ ইউনিয়নের চিলাভালকি গ্রামে বহুদিনের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকালে দু গ্রুপের ৩ দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত হয়েছে ১৪ জন। দির্ঘ দিন ধরে গ্রামের ঈদগাহের রাস্তা নিয়ে গ্রামের দু গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিলো। এ নিয়ে হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটেছে কয়েকবার। ঈদের আগের দিন একটি পক্ষ রাস্তার পাশে গাছ লাগিয়ে ও কুঞ্চির বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয় রাস্তা। গ্রামসূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে গ্রামের মৃত গোলজার হোসের ছেলে মোসারফ কয়েকজন লেবার নিয়ে মাঠে ধানের ক্ষেতে যান। অপর পক্ষের নাফে, দিরাজ, সেলিম, হাফিজুল, আজিজুল, রাজু, আব্দুল কুদ্দুস তাকে মারধর করে। এরই সূত্র ধরে মোসারফের লোকজন ঈদগাহের রাস্তায় কোদাল দিয়ে কেটে গর্ত করে দিতে থাকে। গ্রামের কয়েকজন বাধা প্রদান করতে গেলে লাঠি, ফালা, রাম দা দিয়ে কুপিয়ে একই গ্রামের আলী শাহের ছেলে লিটু , মনির শাহের ছেলে দাউদ, আলফাজের ছেলে আশরাফুল, মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে সাহাজদ্দিন ও মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আজিুললকে কুপিয়ে মারাত্তক আহত করে। তাদের উদ্বার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
অপরদিকে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদগাহের গর্ত করার ঘটনায় বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় গ্রামের ক্যানেলের ব্রিজের ওপর গিয়ে অপর পক্ষ অবস্থান নেয়। এ সময় ইট নিক্ষেপ ও বাঁশের লাঠি, ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে টিটুলের স্ত্রী বন্যাসহ, পলাশ, কামাল, তানজিল, আমজাদ, সেলিম, মোসাররফ, তোফাজ্জেল ও আসাদুলকে জখম করে। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সুন্নত ও সুলতানের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগে জানা যায়।
বেলা ১০টার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘোলদাড়ী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়োন্ত্রনে নেয়। সময় মতো পুলিশ ঘটনাস্থলে না গেলে আরও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতো বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে। এ ঘটনায় ঘোলদাড়ী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই ফারুক হোসেন মাথাভাঙ্গাকে বলেন, গ্রামের দুটি পক্ষের সংঘর্সের ঘটনায় দোষিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।