বিচারকগণ যেখানে যাবেন ভালো কাজ করবেন

চুয়াডাঙ্গা জজশিপের তিন বিচারকের বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জজশিপের তিন বিচারকের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৯টায় জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

বিদায়ী তিন বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক কুষ্টিয়া, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) মো. রোকনুজ্জামান রাজশাহী ও দামুড়হুদা সরহকারী জজ সেলিম রেজা ঝালকাঠি জেলায় বদলী হয়েছেন।

এদিকে, নবাগত চিফ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট হিসেবে এসএম সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) হিসেবে দিলরুবা আক্তার জিনিয়া এবং সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে সাজেদুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় যোগদান করবেন বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বারের সাধারণ সম্পাদক ও পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি মোহা. শামসুজ্জোহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খন্দকার ফরহাদ আহমেদ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (১) আব্দুর রহিম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিদায়ী বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) মো. রোকনুজ্জামান ও সহকারী জজ সেলিম রেজা বক্তব্য রাখেন।

আইনজীবীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এসএম ইমদাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন খান, আলমগীর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, শামীম রেজা ডালিম ও সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, সিনিয়র আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন (১) ও আশরাফ আলী বিশ্বাস । অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জজশিপের বিচারকবৃন্দ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা ও দায়রা জজ রবিউল ইসলাম বলেন, বিদায়ী বিচারকগণ যেখানে যাবেন ভালো কাজ করবেন আশা করবো। আপনার (বিচারকবৃন্দ) মানুষ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার মানুষের প্রতি বিপদে আপদে এগিয়ে আসবেন সেটাই আশা করবো। তাদের প্রতি আইনজীবীদের কোনো মনোকষ্ট থাকে তা ভুলে যাবেন। আমরা তাদেরকে স্মরণ করবো। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে। আইনজীবীদের কল্যাণেই ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয়।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিদায়ী তিন বিচারকের কাছে বিচারিক সুবিধা পেয়েছেন। তারা ন্যায় বিচারক। আমার এই তিন মাসে কোনো সমস্যায় পড়িনি। জেলা জজ সুনিপুণভাবে দায়িত্ব পালন করেন। মাদকবিরোধী সমাবেশে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থেকে জনগণকে আইন সম্পর্কে সচেতন করেছেন। এর ফলে মামলা করতে যে সকল দুর্বলতা থাকে তা দূর হবে।

বিদায়ী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক বলেন, তিন বছর দায়িত্ব পালনকালে চুয়াডাঙ্গায় ৮ হাজার মামলার মধ্যে ৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। চেষ্টা করেছেন সর্বোত্তম সেবা দিতে। তিন বছর সময় থাকলাম, যেতে কষ্ট হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় যাচ্ছি যেখানে আমার পিতা ২০ বছর আগে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চাকরি করতেন।