বহুদিন পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পেরেছে, ডাকাতির আগেই ডাকতদলের অনুপ্রবেশের তথ্য পেয়ে দুটি বাড়ির ডাকাতিই শুধু রোধ করেনি ডাকাত ধরার ফাঁদও পাততে পেরেছে সঠিক সময়। অল্পের জন্য ডাকাতদল ফাঁদ থেকে ফঁসকালেও পরবর্তীতে পাকড়াও হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। এ দক্ষতার জন্য অবশ্যই পুলিশের সংশ্লিষ্টরা সাধুবাদ পাওয়ার দাবি রাখে।
ডাকাতির পর ডাকাত ধরতে পারবে বলেই যখন বিশ্বাস করা কঠিন, তখন ডাকাতির আগেই ডাকাতদলের পিছু নিতে পারা মানেই বলতে হবে, গোপন সংবাদ সংগ্রহে দক্ষতা বেড়েছে। অর্থাৎ সোর্স চিনতে ভুল হয়নি। চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের কর্চ্চাডাঙ্গার দুটি বাড়িতে ডাকাতির ছক কষেছিলো আন্তঃজেলা ডাকাতদল। ডাকাতদলের হানার আগেই গোয়েন্দা পুলিশ ওই দুটি বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি ডাকাতদল গ্রেফতারের ফাঁদও পাতে। গ্রামে পাহারাদারদের প্রতিরোধেই মূলত ডাকাতদল পিছু হটে। গোয়েন্দা পুলিশ পিছু নেয়। এ ঘটনার বর্ণনা শুনে অনেকেই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচালে দুলতে থাকেন। কারণ, অনেক ঘটনাই আছে যা সাজানো বলে যখন প্রতীয়মান হয়, ডাকাতির পর ডাকাত ধরে ডাকাতি করা মালামাল উদ্ধারে যখন উদাহরণ শূন্যের কোঠায় গিয়ে দাঁড়ায়, তখন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলা নিশ্চয় অমূলক নয়। তবে পুলিশের সব অফিসার, সব সময়ের সকল জেলা কর্তা যে এক নয় তা বিশ্বাস করতেই হবে। কর্চ্চাডাঙ্গায় প্রতিরোধের মুখে পালানো ডাকাতদল চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হিজলগাড়ি বাজারের একটি হোটেল থেকে যখন ধরা পড়েছে তখন বিশ্বাসের মাত্রা বেড়েছে। হিজলগাড়ির হোটেল থেকে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের আটজনকে দ্রুত আটক করার কৃতিত্ব শুধু পুলিশ নেয়নি, স্বয়ং পুলিশ সুপার তা স্বীকার করে সফলতার জন্য স্থানীয় জনগণকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। এটাই হওয়া উচিত। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের শতভাগ সফলতা প্রায় অসম্ভব।
মাঝে কিছুদিন ডাকাতদলের তা-বে যেমন আতঙ্ক ছড়ালো, তেমনই আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে গুজবের পর গুজব ছড়িয়ে শান্ত জেলাকে অশান্ত করে তুলতে শুরু করলো কুচক্রীমহল। যার খেসারত দিলো কিছু মানসিক প্রতিবন্ধী। হয়রান হলো পুলিশ। সেই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টারই প্রতিফলন ডাকাতির আগেই ডাকাত গ্রেফতার।
পুনশ্চ: একটি সফলতার স্বীকৃতি যেমন উদ্যমী করে তেমনই তৃপ্তির ঢেকুরে ডেকেও আনতে পারে পরাজয়।