মুজিবনগর তারানগর পদ্মবিল পাড়ের রাস্তা বিলীন : স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ জনগণের দুর্ভোগ চরমে

 

মেহেরপুর অফিস/মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার তারানগর পদ্মবিল পাড়ের সরকারি রাস্তা ভেঙে পদ্মবিলে বিলীন হয়েছে। এতে ওই সড়কে চলাচলে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। এতে বিলের মাছ ভেসে গেলেও বেশি সমস্যায় পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের মাঝে ১১০ বিঘার পদ্মবিল অবস্থিত। পদ্মবিল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। এতে সরকার মোটা অঙ্কের টাকা রাজস্ব পেলেও বিলের ধারের রাস্তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ থাকেনা। বিধায় প্রতি বছর বিলের ধারের রাস্তা ভেঙে যেতে থাকে। তবে এ বছরের টানা বর্ষনে বিলের পশ্চিম ও পূর্বপাড়ের প্রায় দেড় কিলোমিটার করে মোট তিন কিলোমিটার রাস্তা পদ্মবিল গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে জনগণ চলাচল করতে পারছেন না। শুধু কি তাই? বিলের দক্ষিণপাশে রয়েছে ১শ ঘর লোকের বাস। রয়েছে জয়পুর-তারানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তারানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। গ্রামবাসীর পাশাপাশি কোমলমতি শিশুসহ প্রায় ৫শ শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়।

তারানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশন্ত মণ্ডল বলেন, তার বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৩শ শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ২শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে পদ্মবিলের উত্তরপাড়ে বসবাসরত পরিবার থেকে। তিনি আরও বলেন এ বর্ষায় বিলপাড়ের রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় গ্রামবাসীর পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসায় বিঘ্ন ঘটছে।

জয়পুর-তারানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক বলেন তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫ শতাধিক। যার মধ্যে ২ শতাধিক ছাত্রী রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকাংশই বিলের উত্তর পাশের বাসিন্দা। এদের সবাইকে কষ্ট করে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। আবার টিফিন খেতে বাড়ি যেতে পারেনা শিক্ষার্থীরা।

বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন জানান, পদ্মবিল থেকে পাওয়া রাজস্বের একটি অংশ প্রতিবছর বিলের জন্য খরচ করা দরকার। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নের এতোবড় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। এ বিষয়ে আমি মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনকে অবগত করেছি। তিনি স্থানটি পরিদর্শন করেছেন এবং এ রাস্তার উন্নয়ন করবেন বলে আশা দিয়েছেন।

মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি স্থানটি আগেই পরিদর্শন করেছে। এটি বড় ধরণের একটি সমস্যা এবং এটির সমাধানে প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ হবে। এটি যেনোতেনো করে বাঁধাই করলে সমস্যার সমাধান হবে না। আমি চাই এটির স্থায়ী সমাধান। বিধায় আমি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় কি-না সে চেষ্টায় করে যাচ্ছি।

Leave a comment