স্টাফ রিপোর্টার: রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের জৌকুরা ফেরিঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে গরু-মোষ নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে ট্রলারে থাকা গরু ব্যবসায়ী ও রাখালেরা সাঁতরে তীরে এলেও অধিকাংশ গরু-মোষের প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার বিকেলে তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের জৌকুরা ফেরিঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালুখালী উপজেলার রূপসা খেয়াঘাট এলাকা থেকে ২৬ জন ব্যবসায়ী বিক্রির জন্য গরু-মোষ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। ট্রলারে ৫৪টি গরু ও ১১টি মোষ ছিলো। জৌকুরা ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছুলে তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনার পর ১৪টি গরু জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই পাড়ে ১৩টি মৃত গরু পাওয়া গেছে। গরু ব্যবসায়ী ও রাখালেরা সাঁতরে তীরে ফিরে এসেছেন। কালুখালীর গরু ব্যবসায়ী কুদ্দুস ব্যাপারী বলেন, তারা কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী একসাথে আরিচা যাচ্ছিলেন। আরিচা থেকে ট্রাকে করে ঢাকায় গরু নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। তাদের সাথে গরু-মোষ দেখভাল করার জন্য ২২ জন রাখাল ছিলেন। কিন্তু ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন তারা সর্বস্বান্ত। ট্রলারে থাকা গরু ব্যবসায়ী ফজলুল হক বলেন, এ বছর তিনি ব্যাংক থেকে সাত লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ১২টি গরু কিনেছিলেন। একটু বেশি লাভের আশায় বিক্রির জন্য গরু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু ট্রলারটি ডুবে যাওয়ায় এখন তিনি নিঃস্ব। নিজে সাঁতরে তীরে এলেও গরুগুলো বাঁচাতে পারেননি তিনি। নদীতে থাকা আরেকটি ট্রলারের মাঝি খোরশেদ আলী বলেন, স্রোতের ঘূর্ণিতে পড়ে চোখের পলকে ট্রলারটি ডুবে গেছে। গরু-মোষের গলার রশি খুলে দিতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। এতে অনেক গরু সাঁতরে তীরে আসতে পারতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা নুরমহল আশরাফী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় লোকজন খুব আন্তরিকতার সাথে উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো সহায়তা করা হবে।