গাংনী প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আজহায় মেহেরপুর গাংনী পৌরসভা এলাকায় পশু কেরাবানির জন্য ৪১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কোরবানির পশু জবাই ও দ্রুত বজ্য অপসারণের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও গাংনী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে ৪টি করে মোট ১২, ৪নং ওয়ার্ডে ৬, ৫নং ওয়ার্ডে ৫, ৬নং ওয়ার্ডে ৭, ৭নং ওয়ার্ডে ৪, ৮নং ওয়ার্ডে ৫ এবং ৯নং ওয়ার্ডে ২টি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। সুষ্ঠভাবে কোরবানির পশু জবাই ও দ্রুত বর্জ অপসারণের লক্ষে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্ব স্ব এলাকার কমিটি কোরবানি সংশ্লিষ্ট কাজে কমিটির সদস্যবৃন্দ তদারকি করবেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে কোরবানি বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এগুলো হচ্ছে কোরবানির পূর্বেই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিকট কোরবানি দাতার নাম জমা দিতে হবে। প্রতি মহল্লায়/পাড়ায় নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করতে হবে। যারা নিজের আঙিণায় কোরবানি করবেন, তারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দ্রুত বর্জ্য অপসারণের কাজ করবেন। যারা ব্যক্তিগতভাবে নিজস্ব আঙিণায় কোরবানি করবেন তারা কোন অবস্থায় পশুর রক্ত/মাংস/হাড় অথবা পশুর ময়লা রাস্তায় বা ড্রেনে ফেলতে পারবেন না। সরকারি এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক (ডিডি-এলজি) খায়রুল হাসান বলেন, ঈদুল আজহার দিনে পশু কোরবানি কেন্দ্র করে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাংনী এলাকায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। রাস্তার পাশে কোনো অবস্থায় কোরবানি করতে দেয়া হবে না। নিজ উদ্যোগে কোরবানিকারীরা যদি ময়লা-আবর্জনা অপসারণ না করেন তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জেলা প্রশাসনের মতোই বিভিন্ন প্রকার নির্দেশনা দিয়েছে গাংনী পৌরসভা। গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, কোরবানি সমাপ্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। যত্রতত্রভাবে পশু জবাই করলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজে সমস্যা সৃষ্টি হবে। এই শহর আপনার-আমার-আমাদের সকলের। তাই শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলের সহযোগিতার অনুরোধ করেন তিনি।
গাংনী পৌরসভার নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে পশু জবাইয়ের আগে গর্ত করতে হবে। গর্তের মধ্যে রক্ত, গোঘাসী, নাড়ি-ভুড়ির পরিত্যক্ত অংশ ফেলে মাটি চাপা দিন। পশুর উচ্ছিষ্ট অংশ যত্রতত্র না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলুন। বর্জ্য অপসারণ ও গোশত বিতরণে পরিবেশ সম্মত ব্যাগ-পাত্র ব্যবহার করুন। দ্রুত বর্জ্য অপসারণে পৌরসভাকে সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় রাখুন।