জীবননগর ব্যুরো: হজ এজেন্সির প্রতারণার কারণে জীবননগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের এবার হজে যাওয়া হলো না। এ ৭ জন হজ এজেন্সির প্রতারণার শিকারে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় হজ এজেন্সি গুলশান এ মোহাম্মদীয়া ও স্থানীয় মুয়াল্লেম হাফেজ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, ঢাকার গুলশান এ মোহাম্মদীয়া হজ এজেন্সির কাজ করে থাকে। তার লাইসেন্স নং ৭৯৮। গুলশান এ মোহাম্মদীয়ার জীবননগর উপজেলার মোয়াল্লেম হাফেজ মিজানুর রহমান। তিনি এবার ৬৮ জনকে হজে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন। ৬৮ জনের মধ্যে ১০ জন পূর্বেই হজে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ৫৮ জনকে ২৪ আগস্ট হজে পাঠানোর কথা ছিলো; কিন্তু হজ এজেন্সি নির্দিষ্ট দিনে তাদের হজে না পাঠিয়ে গড়িমসি শুরু করে। সর্বশেষ রোববার দিবাগত রাতে তাদের হজ ফ্লাইট হওয়ার কথা। ৫৮ জনের মধ্যে ৫১ জনের টিকিট কনফার্ম করে হজ এজেন্সি। ৭ জনের সাথে শুরু করে প্রতারণা। কাদের টিকিট হয়নি তা নিয়েও শুরু হয় মোয়াল্লেম ও হজ এজেন্সির লুকোচুরি খেলা। শেষ পর্যন্ত হজে যেতে সৌদি যাওয়ার টিকিট পাননি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান হাফিজ ও তার স্ত্রী, ধোপাখালীর মফিজ উদ্দিন, হরিপুরের ইজাজুল হক, হাবিবপুরের পল্লি চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম, শাপলাকলিপাড়ার আলী আহাম্মদ ও জীবননগরের দীন মোহাম্মদ।
স্থানীয় মোয়াল্লেম তাদেরকে হাজি ক্যাম্পে ফেলেই অন্যদের নিয়ে হজে চলে গেছেন। প্রতারিতরা গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন হজে যাওয়ার জন্য। কিন্তু হজ এজেন্সি গুলশান এ মোহাম্মদীয়া তাদের নামে কোনো টাকা পয়সা জমা না দেয়ায় তারা শেষ পর্যন্ত হজে যেতে ব্যর্থ হয়ে ওই হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। হজ এজেন্সির প্রতারণার কারণে হজে যেতে না পারায় এসব হজযাত্রী মানষিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। প্রতারিত হজযাত্রীরা বাড়ি ফিরে আসছেন বলে জানা গেছে।