চুয়াডাঙ্গার বেগনগরে গরু নিয়ে দু প্রতিবেশীর মধ্যে মারামারি
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দু পরিবারের মধ্যে মারামারিতে হাসুয়ার কোপে দুখি মণ্ডল পক্ষের দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে তোতাকে ধরতে না পেরে তার মা ছিয়ারনকে গাছে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার সকাল ৭টায় চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের বেগনগর গ্রামে।
এ ব্যাপারে দুখি মণ্ডলের ছেলে আহত আনোয়ারের স্ত্রী জানান, গত পরশু শনিবার দুপুরের প্রতিবেশী আবু বকর ফুল মিয়ার ছেলে তোতার বাড়ির নিকট গরু বাঁধলে তোতার মা ছিয়ারন দুখি মণ্ডলকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডাসহ উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ছিয়ারন সারারাত দুখি মণ্ডলের পরিবারের লোকজনকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং সকালে উঠেও গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় দুখি মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার ও ছানোয়ার ছামিরনকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে নিশেধ করে। এ সময় তোতার ছাতার মধ্যে রাখা হাসুয়া দিয়ে আনোয়ারের গলায় এবং ছানোয়ারের ডান হাতে কোপ মেরে আহত করে। আহত আনোয়ার ও ছানোয়ারকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে তোতার মা ছিয়ারন জানায় গত পরশু শনিবার দুখি তার বাড়ির নিকট গরু বাঁধে। গরুর গোবরের গন্ধ ঘরে লাগলে গরুটি খুলে একটু দূরে সরিয়ে বেঁধে দিয়ে আসি। এতে দুখি ক্ষিপ্ত হয়ে ছামিরনকে কিল ও ইট দিয়ে বুকে মারে। গতকাল রোববার সকালে দুখির বাড়ির লোকজন গালাগালি করতে থাকে। এ সময় প্রতিবাদ করলে দুখির দুই ছেলে আনোয়ার ও ছানোয়ার আমার বাড়ির নিকট এসে আমার ছেলে তোতাকে মারতে থাকে। এ সময় তোতা দৌঁড়ে পালিয়ে গেলে দুখির বাড়ির লোকজন ছিয়ারনকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে সমস্ত শরীরে আঘাত করে। পরে গ্রামের মাতব্বর মোক্তার এসে তার বাঁধন খুলে দেন। এ সময় ছিয়ারন তার শরীরের আঘাতের চিহ্নগুলি সাংবাদিককে দেখান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষের মামলা হয়নি।