ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহ জেলার মহাসড়কে সড়ক মেরামতের নামে চলছে ভেল্কিবাজি। সরকারের টাকা নষ্ট হলে কি আসে যায়। আমারা তো চাকরি করছি। গত শনিবার যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর শুরু হয়েছে আর এক রকমের সার্কেস। দেখা গেলো সড়ক বিভাগের কর্মচারীরা সড়কের জরুরি মেরামতের নামে রাস্তার গর্তে পানি জমে থাকা স্থানে পিচ ও পাথর দিয়ে মেরামতের কাজ করছে। স্থানীয়রা পানির মধ্যে পিচ পাথর দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করলে সেদিকে তাদের কোনো খেয়াল নেই। ইতিপূর্বে দেখা গেছে রাস্তা মেরামত করলেই ২ দিনেই রাস্তা সবেক স্থানে ফিরে আসে। ঝাটা দিয়ে পানি ঝাটিয়ে শুকিয়ে কাজ করলে সেই রাস্তা দীর্ঘ সময় থাকা সম্ভব। যেভাবে রাস্তা মেরামতের কাজ করছে তাতে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যায় হলেও তার সুফল জনসাধারণ ভোগ করতে পারবে না। পানির মধ্যে এইভাবে কেন কাজ করছে জানতে চাইলে শ্রমিকরা জানায়, ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান এভাবে কাজ করতে বলেছেন। সাইডে খোঁজ করে দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী সাকিবুল হাসানকে পাওয়া গেল না। শ্রমিকেরা বললেন স্যার অফিসে গেছে। কিন্তু ২টা ৪০ মিনিটে অফিসে গিয়ে দেখা গেলো নিচের তলায় একজন অফিস সহকারী ও উপরের তলায় নুরুল ইসলাম নামের একজন ছাড়া অন্য কাউকে পাওয়া গেলো না। তারা জানান, সবাই দুপুরের খাবার খেতে গেছে। এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী সাকিবুল হাসানের মোবাইল যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।