জীবননগরে হতদরিদ্র পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর মনোহারপুর গ্রামের দিনমজুর মুনতাজ আলী পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জীবননগর উপজেলার মনোহারপুর গ্রামের শিমুলতলা পাড়ার মৃত আশাদ আলীর ছেলে হতদরিদ্র বৃদ্ধা মুনতাজ আলীর (৭৫) শেষ সম্বল ৬ শতক খাস জমির মধ্যে ৩ শতক জমি গোপনে ডিসি আর কেটে দখল করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রভাবশালী দ্বীন মোহাম্মদ মল্লিকের ছেলে মতিয়ার ও ডাবলুর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে হতদরিদ্র বৃদ্ধা মুনতাজ আলীর কাছে জমির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত এই খাস জমিতে ঘর করে বসবাস করে আসছি। আমার শেষ সম্বল এই ৬ শতক জমি ছাড়া আর কোনো জমি নেই। এই অল্প জমিতে আমার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে কোনো রকম মাথা গুজে থাকি। আর আমার এই শেষ সম্বলটুকুর অর্ধেক আমরা জানার আগেই ডাবলু ডিসিআর কেটে নিয়েছে। তাকে বললে সে আমার বাড়িতে এসে ঘরবাড়ি ভাঙচুরসহ মারধর করে আহত করে। এ ব্যাপারে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কোনো লাভ হয়নি। উল্টো ডাবলুরা আমাদের নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে পুলিশ দিয়ে তাড়াচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি জমির ব্যাপারে ইউএনও সাহেব লিখিতভাবে জানিয়েছি তিনি আমাদেরকে ২৮ তারিখে তার অফিসে যেতে বলেছে ।আর এর মধ্যেই ডাবলু ,মতিয়ার ও তার সালা বাবু মিলে আমাদের বসবাসরত এক মাত্র ঘরটি লাটি দিয়ে ভাঙচুর করে দিল শেষ বয়সে এই ছিলো মোর কপালে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মুনতাজ একজন হতদরিদ্র তিনি এই জমিতে প্রায় ৫০ বছর যাবত বসবাস করে আসছে। যে জমিতে তারা বসবাস করছে সেটি খাস জমি কিন্তু ওই সময় মুনতাজ দ্বীন মোহাম্মদ মল্লিকের নিকট থেকে অল্প দামে কিনেছিলো। কিন্তু তার ছেলে ৬ শতক জমির মধ্যে ৩ শতক জমির ডিসিআর কেটেছে বলে শুনেছি এবং সেই জমির জন্য এই অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিটার ঘরবাড়ি ভাঙচুরসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেছে।

এ ব্যাপারে ডাবলুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মুনতাজ যে জমিতে বসবাস করছে এটা সম্পূর্ণ খাস ঠিক আছে এই জমির পাশে আমাদের অনেক জমি আছে। তাছাড়া মুনতাজরা যে জমিতে বসবাস করছে তার মধ্যে আমাদের ৩ শতক জমির ডিসিআর কাটা আছে। তারা আমাদের জমির উপরে ঘর তৈরি করায় তাদের নিষেধ করলে তারা না শোনায় তাদের ঘরের চাল খুলে দেয়া হয়। এ সময় তারা আমার শ্যালককে মারধর করে এবং তার মাথা ফাটিয়ে দেয় তাকে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ডাবলুর এহেন কাণ্ড দেখে এলাকার সাধারণ মানুষ হতবাক।

Leave a comment