ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা প্রেসক্লাব নির্বাচন নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েকজন সদস্য প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে মর্মে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চলেছে। প্রকৃত অর্থে শৈলকুপা প্রেসক্লাবের নির্বাচিত বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। এরই মাঝে কতিপয় সদস্য অবৈধভাবে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী। প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে অবৈধ আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে দায়েরকৃত মামলা শুনানী রয়েছে আগামী ২৯ আগস্ট। তা সত্ত্বেও আদালত অবমাননা করে অবৈধ আহবায়ক কমিটি ১২ ঘণ্টার তফসিলে শনিবার সকালে নির্বাচন প্রক্রিয়া করে। এ ঘটনায় শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাসান মুসা লিখিতভাবে প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অপরদিকে শৈলকুপা প্রেসক্লাবে ২০ জনের অধিক সদস্য থাকলেও প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেয় মাত্র ৭ জন সদস্য। যে কারণে নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়। এরপর তারা পকেট কমিটি ঘোষণা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। ওই ফেইসবুক স্ট্যাটাসের বিপরীতে অনেক হাস্যকর কমেন্টস লক্ষ্য করা যায়। প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাসান মুসা জানান, শৈলকুপা প্রেসক্লাবের কতিপয় সদস্য অবৈধভাবে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়, আগামী ২৯ আগস্ট শুনানী। অথচ অবৈধ আহবায়ক কমিটি আদালত অবমাননা করে সোস্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ দেয়া হয়। পরে তারা পকেট কমিটি তৈরি করে ঘোষণা দেয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ২৯ আগস্ট আদালতের সিদ্ধান্তের পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় সকল সদস্যের উপস্থিতে প্রেসক্লাবের বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হবে। অবৈধ এ পকেট কমিটির কোনো বৈধতা নেই। সম্মানিত সকল সদস্যদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।