মেয়র আনিসুল হক এখনও অচেতন
স্টাফ রিপোর্টার: লন্ডনের হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক এখনও অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আনিসুল হকের স্বজনরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চিকিৎকরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্ককে বিশ্রামে রাখতে তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। আনিসুল হক কী ধরণের ‘সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে’ (মস্তিষ্কের রক্তনালির প্রদাহ) ভুগছেন, তা নির্ণয়ে চিকিত্সকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান। আনিসুল হকের স্ট্রোকের সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিত্সা নিশ্চিত করতে এটি জরুরি। মেয়রের স্ত্রী রুবানা হক জানিয়েছেন, প্রথম দফায় আনিসুল হককে যেসব ওষুধ দেয়া হয়েছে, সেটি তাকে প্রভাবিত করেনি। আগামী সপ্তাহে চিকিত্সার বিষয়ে আরও হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আনিসুল হকের জন্য সবাইকে দোয়া অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি। গত ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান মেয়র আনিসুল হক। অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্ত্রী রুবানা হক তার চিকিত্সার বিষয়টি সার্বক্ষণিক দেখভাল করছেন।
বাংলাদেশ ভ্রমণে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে নতুন করে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হুমকি অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে অবস্থানরত এবং বাংলাদেশে ভ্রমণেচ্ছু মার্কিন নাগরিকদের প্রতি এ সতর্কতা দেয়া হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলম্বন ও সতর্ক থাকার পাশপাশি স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে মার্কিনিদের। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে এই সতর্কতা কার্যকর হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে শনাক্ত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড আশ শাম (আইসিস) এবং আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) দেশজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পনা বা হামলা চালানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্চ মাসে ঢাকার হজরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলার চেষ্টা চালানো হয়। আর সিলেটে এক বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হন। এ ঘটনা দুটো ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার কূটনৈতিকপাড়ার একটি রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসীদের হাতে এক মার্কিন নাগরিকসহ ২০ জনের প্রাণহানি হওয়া হামলার পর প্রথম উল্লেখযোগ্য হামলা।
আবদুল জব্বারের শারীরিক অবস্থার অবনতি
স্টাফ রিপোর্টার: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী, গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকের জনপ্রিয় গায়ক, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া আবদুল জব্বার এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দেবব্রত বণিক জানিয়েছেন, চিকিৎসায় আর সাড়া দিচ্ছে না কিংবদন্তি এই কণ্ঠশিল্পীর শরীর। দেবব্রত বণিক জানান, আবদুল জব্বারের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে। তার শরীর এখন আর কোনো চিকিৎসা গ্রহণ করছে না। দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গও অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় রোগীর কাছের মানুষজনকে যেকোনো খবর শোনার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন অধ্যাপক দেবব্রত বণিক। এদিকে আবদুল জব্বারের বড় ছেলে মিথুন জব্বার বলেন, ‘আমার বাবার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। কোনোভাবেই উন্নতি হচ্ছে না। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ এদিকে আবদুল জব্বারের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে আইসিইউর সামনে অনেকেই এসে ভিড় করছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আবদুল জব্বার কিডনি, হার্ট, প্রোস্টেট গ্রন্থিসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।
দুই বাংলাদেশি স্বামী নিয়ে বিপাকে মালয়েশিয়ান তরুণী
স্টাফ রিপোর্টার: ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসে টাঙ্গাইলের যুবক মনিরুলকে বিয়ে করেন মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিস। এরপরেই খবর আসে ওই তরুণীর আগে থেকেই আরও এক বাংলাদেশি স্বামী রয়েছে। এ খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন নতুন স্বামী মনিরুলসহ ওই তরুণী। জানা যায়, ছয় মাস আগে মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সখীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ঈমান আলীর ছেলে ও সখীপুর সরকারি মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মনিরুলের (১৭)। এরপর তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। একপর্যায়ে জুলিজা গত শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলে আসেন। ওইদিন বিকেলেই তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। কিন্তু মনিরুলের বয়স কম হওয়ায় রাতে স্থানীয় মৌলভী দ্বারা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মামার বাসায় তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রপত্রিকায় খবরও প্রকাশ হয়। সমস্যা শুরু হয় এরপর থেকেই। জুলিজার পূর্বের স্বামী আজগর আলীর নজরে আসে ওই প্রতিবেদনে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুলিজার চার সন্তানসহ তাদের পারিবারিক একটি গ্রুপ ছবি ও কাবিননামাসহ বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে পাঠান।