দামুড়হুদার বড়দুধপাতিলা গ্রামে শরিকানা জমি বেচা-কেনা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের ১২ জন আহত

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় শরিকানা জমি বেচা-কেনা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দু নারীসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার বেলা ৫টার দিকে উপজেলার বড়দুধপাতিলা গ্রামে ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে,  চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বড়দুধপাতিলা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে রানা (২৮) সম্প্রতি পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ৩ কাঠা ভিটে জমি বিক্রি করতে চাইলে প্রতিবেশী রোবহান উদ্দীন ওরফে বেড়া ২ লাখ টাকায় কিনতে রাজি হন। বিষয়টি জানতে পেরে রানার চাচাতো ভাই মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে ফারুক ওই জমি বাইরে বিক্রি করতে বাঁধা সৃষ্টি করেন। তিনি রানাকে বলেন ওই জমি আমরা নেবো তবে দাম কম নিতে হবে। পরবর্তীতে রানা ওই জমি প্রতিবেশী বোরহান উদ্দীনের কাছে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এ নিয়েই শুরু হয় উভয় পরিবারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা। এরই এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে বাধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। প্রতিপক্ষের হামলায় রানার মা নাছুরা বেগম (৫০), মৃত তেতুল শেখের দু ছেলে নওশাদ (৪৮) এবং নূর জামাল (৪০), শুকুর আলীর দু ছেলে আলী আজগার (৩৬) ও ছানোয়ার (৩৪) এবং নওশাদের ছেলে মিলন (২৪) রক্তাক্ত জখম হন। এদেরকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে নওশাদের মাথায় এবং নূর জামালের মাথা ও ঘাড়ে একাধিক সেলাই দেয়া লেগেছে। আলী আজগারের বামহাত ভেঙে গেছে।

এছাড়া অপরপক্ষের মৃত আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৬৫), তার ৪ ছেলে ফারুক হোসেন (৪২), লাল্টু (৩৯), পল্টু (৩৫) এবং মিন্টু (২৮) প্রতিপক্ষের হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের মাথায় একাধিক সেলাই দেয়া লেগেছে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানা গেছে।