জীবননগর হাসাদহে যাত্রী উঠানো নিয়ে দুই মিশুক চালকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা : একজন জখম

হাসাদাহ প্রতিনিধি: জীবননগর উপজেলার হাসাদহে যাত্রী উঠানো নিয়ে দুই মিশুক চালকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শেষে প্রতিপক্ষকে দায়ের কোপে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতকাল বেলা ১টার দিকে জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ থেকে রায়পুর সড়কে যাত্রী উঠানো নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন একই উপজেলার রায়পুর গ্রামের আলমের ছেলে নয়ন (২৫) ও বালিহুদা গ্রামের সদর আলীর ছেলে এরশাদ (৩২)। এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নিলে স্থানীয় লোকজন বিষয়টা মিটিয়ে দেন। কিন্তু তারপরও এরশাদ তাকে মারার হুমকি প্রদান করে তার নিজ বাড়ি বালিহুদায় চলে যান। মিশুক চালক নয়ন হাসাদাহ থেকে যাত্রী নিয়ে রায়পুরের উদ্দেশে রওনা দিলে পথিমধ্যে বালিহুদা গ্রামের চার মাথা নামক স্থানে পৌঁছুলে এরশাদ গাড়ি চলন্ত অবস্থায় তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার হাতে ও পেটে দা দিয়ে কোপ মারে। ঘটনাস্থলেই মিশুক চালক নয়ন জ্ঞান হারান। স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল গাফফার জানান, মিশুক চালক যাত্রী নিয়ে বালিহুদা চার মাথা নামক স্থানে পৌঁছুলে অভিযুক্ত এরশাদ গাড়ির গতিরোধ করে তার ওপর দা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। আমি বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও তাকে রক্ষা করতে পারিনি। স্থানীয় রায়পুর ক্যাম্প ইনচার্য আব্দুল কায়য়ুম জানান, আমি ফোন পাওয়া মাত্রই সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কিন্তু ততক্ষণে স্থানীয় জনতা নয়নকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আমরা ঘটনার সাথে জড়িত এরশাদের বাড়িতে তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশে যায় কিন্তু তিনি পালিয়ে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানা গেছে।