স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দেহাটি কড়চাডাঙ্গা গ্রামের হাবিব গাজি (২১) নামের এক পাষণ্ড স্বামী যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে (১৮) শারীরিক নির্যাতন শেষে গলায় বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আহত গৃহবধূকে মূমুর্ষূ অবস্থায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গত রোববার রাতে স্বামীর বাড়িতেই ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহবধূর পিতা দামুড়হুদা উপজেলার তারিনিপুর গ্রামের ভ্যানচালক ইদ্রিস মোল্লা জানান, গত ৭ মাস আগে বড় মেয়ে ফাতেমার সাথে বিয়ে হয় জীবননগর উপজেলার দেহাটি কড়চাডাঙ্গা গ্রামের মোক্তার গাজির ছেলে হাবিব গাজির সাথে। বিয়ের সময় যৌতুক দেয়ার কোনো কথা না থাকলেও আড়াই মাসের মাথায় বিদেশ যাওয়ার অজুহাতে এক লাখ টাকা চেয়ে বসে জামাই হাবিব গাজি। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিভিন্ন এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তুলে দেয়া হয় জামায়ের হাতে। জামাই ওই টাকা দিয়ে নিজে বিদেশ না গিয়ে ছোট ভাই রাজিবকে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়। এর ২ মাস পর জামাই আবারও এক লাখ টাকা দাবি করে বসে। তিনি কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন ওই টাকা দিতে না পারায় মেয়েকে মারধর শুরু করে জামাই হাবিব গাজি। আমি ভ্যান চালিয়ে কোনো মতে জীবিকা নির্বাহ করি। তার ওপর জামইকে ঋণ করে দেয়া টাকার কিস্তি। শেষমেষ মেয়ের নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়িতে নিয়ে চলে আসি। অভিযোগ করি হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে। সপ্তাহ খানেক আগে মেয়ে মোবাইলফোনে জামায়ের সাথে যোগাযোগ করে গোপনে চলে যায় স্বামীর বাড়ি। দুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের এক পর্যায়ে গত রোববার রাতে জামাই হাবিব গাজি মেয়ে ফাতেমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে শাশুড়ি তাসলিমার সহযোগিতায় মেয়ের গলায় বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে মূমুর্ষূ অবস্থায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। মেয়ের মা বিলকিস বেগম জানান, আমরা একদিন পর জানতে পারি মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি ছুটে যায় হাসপাতালে। তার দেহের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ দেখে আমি গোপনে মেয়েকে নিয়ে চলে আসি। পরে তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এ ঘটনায় স্বামী হাবিব ও শাশুড়ি তাসলিমার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।