আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে কলেজছাত্রীর ছবি ফেসবুকে ছাড়ার ঘটনায় কোচিং শিক্ষক গ্রেফতার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের কলেজছাত্রী ও তার প্রেমিকের আন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন মুন্সিগঞ্জের কোচিং সেন্টারের শিক্ষক নতিডাঙ্গা গ্রামের শাহিন আলম। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আজ শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জের কলেজছাত্রী ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের মিঠু মিয়ার ছেলে প্রান্তর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে র্নিজন স্থানে তারা কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি মোবাইল ফোনে তুলে রাখে। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিক প্রান্ত আপত্তিকর ছবিগুলো মুন্সিগঞ্জের কোচিং সেন্টারের শিক্ষক নতিডাঙ্গা গ্রামের আতিয়ারের ছেলে শাহিন আলমের কাছে দেয়। ওই কলেজছাত্রী এক সময় কোচিং শিক্ষক শাহিনের কাছে কোচিং করতো। এ কারণে তারা পূর্ব পরিচিত। ছবিগুলো পাওয়ার পর কোচিং শিক্ষক ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারে কলেজছাত্রীকে পাঠায় এবং কুপ্রস্তাব দেয়। একটি পার্কে গিয়ে ২ ঘণ্টা তার সাথে সময় কাটালে ছবি ডিলেট করে দেবে বলে জানায়। না হলে ছবিগুলো ফসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। কলেজছাত্রীর অনক মিনতি আকুতি কোচিং শিক্ষকের মন টলে না। সে ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে দেবার কথা বলে কুপ্রস্তাব অব্যাহত রাখে। ইতোমধ্যে কে বা কারা অনামিকা খান নামে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে ওই কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবিগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় এবং হুমকি অব্যাহত রাখে। এছাড়া ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ওই। অনামিকা খান নামের ফেক আইডি থেকে একটি বিকাশ নম্বরও দেয় দাবিকৃত চাঁদা চেয়ে। পিতা মাতা ও লোকলজ্জার ভয়ে ২ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেয় কলেজছাত্রী। ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে গত ১৯ আগস্ট কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় কয়েকজন যুবক কোচিং শিক্ষককে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। এ সময় বাড়াদী ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থায় পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় কোচিং শিক্ষক শাহিনকে।  গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন কোচিং শিক্ষক শাহিন ও কলেজ ছাত্রীর অভিভাবককে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। এ সময় কলেজছাত্রীর তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোচিং শিক্ষক শাহিনকে গ্রফতার করার নির্দেশ দেন তিনি। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন তাকে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে কলেজছাত্রী বাদী হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে।