জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের সন্তোষপুর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে বয়ারগাড়ি নামক স্থানে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে একটি নৈশকোচ ও একটি পিকআপে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতিকালে টহল পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছুলে ডাকাদল পালিয়ে যায়। ডাকাতির শিকার নৈশকোচের যাত্রীদের কেউ কেউ টহল পুলিশের বিরুদ্ধে প্রকাশ করেছে ক্ষোভ।
ডাকাতির পর এ সময় সড়কের ওপর থেকে গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করলে ডাকাতির কবলে পড়া নৈশকোচ ও পিকআপ ভ্যানটি গন্তব্যে উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছুলেও ডাকাতদের গ্রেফতারে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ গতকাল বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঢাকা থেকে দর্শনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা নৈশকোচ জেআর পরিবহানের (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৬৮৮৭) সুপারভাইজার রঞ্জু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, জীবননগরে যাত্রী নামিয়ে দর্শনা যাওয়ার পথে সন্তোষপুরে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা ডাকাতদলের বেরিকেডের মধ্যে পড়েন। ডাকাতদল সড়কের পাশের গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে বেরিকেড সৃষ্টি করে। এ সময় তার সাথে একটি পিকআপও ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাদল দল তার নিকট থেকে ১০ হাজার ৭৫০ টাকা ও ৩ জন যাত্রীসহ ৬ জনের নিকট থেকে ৬টি মোবাইলফোন লুটে নেয়। পরে পিকআপে ডাকাতি করে। ডাকাতিকালে টহল পুলিশের একটি পিকআপ অপরদিক থেকে ঘটনাস্থলে এলেও ডাকাতদল পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ডাকাতির কবলে পড়া জেআর পরিবহনের ড্রাইভার মোমিনুল ইসলামের জবানবন্দি থানায় বসে গ্রহণ করেন।
টহল পুলিশের এসআই আব্দুল হাই জানান, খবর পেয়ে ২ মিনিটের মধ্যে তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। এ সময় ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। ডাকাতদল পরিবহনের যাত্রী এক রোগীর নিকট থেকে একটি মাত্র মোবাইলফোন নিয়ে পালায়। তাছাড়া পুলিশের উপস্থিতিতে ডাকাতির কথা তিনি অস্বীকার করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, তার কাছের টহল পুলিশের উপস্থিতিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।