চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রোগী বহনের কথা বলে অটো নিয়ে লাপাত্তা প্রতারক
স্টাফ রিপোর্টার: অভিনব কৌশলে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা নিয়ে পালানো প্রতারকরা দুজন নয়, ওরা ছিলো ৪ জন। চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্ব¡র থেকে অটো যোগে দুজন হাসপাতালে পৌঁছুলেও পূর্ব থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলো আরও দুজন। চালক শিমুলকে সাথে নিয়ে একজন হাসপাতালের দোতলায় ওঠে, আর পায়ে ব্যাথার কথা বলে অটোতেই বসে থাকা প্রতারক অপর অদুসহযোগীর সহায়তায় তার খুলে দ্রুত অটো নিয়ে চম্পট দেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গতকাল ওই অটোচালক শিমুলকে সাথে নিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রতারক শনাক্ত করেন। গতপরশু সোমবার তখন বেলা ৩টা বাজতে কয়েক মিনিট বাকি। অটো হাসপাতালের গোলচত্বরের নিকট রেখে একজনকে সাথে নিয়ে চালক শিমুল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দরজা দিয়ে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। দোতলায় ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিমুল দোতলা থেকে নিচে নামে। তার সাথে থাকা প্রতারকও শিমুলের পিছু নেয়। শিমুল যখন জরুরি বিভাগের ওইদিক দিয়ে ঘুরে যেখানে অটো রেখেছিলো সেখানে পৌঁছুয়, তখন তার পিছু নামা প্রতারক হাসপাতাল ভবনের প্রধান দরজা যেখানে কল্পসবল গেট বন্ধ ছিলো সেখানে গিয়ে দেখে তার সহযোগীতরা সটকাতে পেরেছে কি-না। হাত দিয়ে ইশরা করে সে দ্রুত জরুরি বিভাগ প্রান্তের দরজা দিয়ে বের হয়ে সরে পড়ে।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র দোয়ারপাড়ার দাউদ আলীর ছেলে শিমুল গত বৃহস্পতিবার দেড় লাখ টাকা দিয়ে একটি অটো কেনে। ভাড়া মারার জন্য রাস্তায় বের হয়। অটো কেনার আড়াইদিনের মাথায় শহীদ হাসান চত্বরে ভাড়ার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় দু ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে দৌলাতদিয়াড় ব্রিজের নিকট পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ভাড়া বন্দবস্ত করে। হাসপাতালে পৌঁছে দুজনের একজন পায়ে ব্যথার কথা জানিয়ে অটোতেই বসে থাকে। অপারজন রোগীসহ রোগীর সাথে থাকা মালামাল নামানোর কাজে সহযোগিতার জন্য অটোচালককে অনুরোধ করে। অটোচালক কজনের সাথে দোতলায় উঠতেই সন্দেহ হয়। সে নিচে নেমে দেখে অটো নেই। প্রতারকও লাপাত্তা। গতকাল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রতারক শনাক্ত করা হয়েছে।