চুয়াডাঙ্গায় সড়ক নিরাপত্তা দুর্ঘটনারোধে যানবাহন পরিচালনাকারী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত :
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনারোধে যানবাহন পরিচালনাকারী মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের ২৫ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আতিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন মুক্তা, নিরাপদ সড়ক চাই’র সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, ট্যাংক-লরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, থ্রি-হুইলার সমিতির সভাপতি আব্দুল মোমেন ও থ্রি-হুইলার (সিএনজি) সভাপতি লাল্টু রহমান। মতবিনিময় সভায় সহকারী কমিশনার ফখরুল ইসলাম, পাপিয়া আক্তার, সচিত্র রঞ্জন দাস ও বিআরটিএ পরিদর্শক এসএম সবুজ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ জুলাই সড়ক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা রোধে যে ১২টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সেগুলো উপস্থাপন করেন সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. জসিম উদ্দীন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা শহরে টাউন সার্ভিস বাস চালু করার বিষয়ে ১ মাসের সময় বেঁধে দেয়া হয়। পৌরসভা কর্তৃক ঘোড়ামারা ব্রিজের পাশ্ববর্তী স্থানে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণে জোর দাবি করা হয়। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক সংখ্যা নির্ণয় করে চলচলের বিষয়ে পৌর মেয়রকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়। শহরের কেন্দ্রস্থল হাসান চত্বরে মেহেরপুরগামী বাসস্টপেজ সরিয়ে নেবে কি-না তা এক আগামী রোববারের মধ্যে প্রশাসনকে জানানো হবে। যশোরগামী বাস সেখান থেকে কিছুটা পিছিয়ে পোস্ট অফিসের কাছ থেকে ছাড়ার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। ঢাকাগামী বাস কাউন্টার বড়বাজার থেকে যাত্রী সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উঠানো যাবে না। যাত্রীরা বাস টার্মিনাল থেকে উঠানামা করবেন। পরিবহন শ্রমিকদের মাসের ২য় সোমবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। শহরের রাস্তার ওপর কোনো ট্রাক পার্কিং ও ধোয়ামোছা করা যাবে না। রাস্তার ফুটপাত দখল করে কোনো অবৈধ স্থাপনা/দোকান করা যাবে না। চার পৌরসভা এলাকায় অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখা যাবে না। শব্দ ও পরিবেশ রক্ষার্থে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শহরে মাইকিং করা যাবে না। মালবাহী গাড়িতে কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অবৈধ যানবাহনসমূহ পাঁচটি মূল সড়কে চলাছল করতে পারবে না। সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।