সৌদি আরবের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে অবশেষে দেশে ফিরে এলো গার্মেন্টসকর্মী চামেলি

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুর উপজেলার আজিবাড়ী নওদা গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে করিম আলী এবং একই গ্রামের সালমা খাতুন ও ঢাকার বনানীর রিক্রুটিং এজেন্সির দালাল আব্দুল হালিমের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হওয়া গার্মেন্টসকর্মী অবশেষে মানবাধিকার সংগঠন ও সরকারের সহযোগিতায় সৌদি আরবে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে গত শনিবার দেশে ফিরে এসেছে। দেশে ফিরে জানান, তিনি নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন।

পরিবার ও মানবাধিকার সংগঠন আরডিসি সূত্রে জানা গেছে, ১২ আগস্ট দেশে ফিরে চামেলি খাতুন জানান, সে নতুনভাবে জীবন ফিরে পেলো। সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ দেয়ার নাম করে নিয়ে যেয়ে দেশি-বিদেশি একটি চক্র একটি ভবনে আটকে রেখে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে সে জানিয়েছে। তিনি জানান, ওই দেশে গিয়ে তিনবার বিক্রি হয়েছে। সর্বশেষ যেখানে অবস্থান ছিলো সেখানে তারা ৯ জন নারী ছিলেন। এর মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন নাগরিক ছিলেন। সাহসী এই নারী তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় কর্মরত মানবাধিকার সংগঠন আরডিসির নির্বাহী প্রধানের কাছে মোবাইলফোনের মাধ্যমে তথ্যাদি প্রেরণ করলে ওই সংস্থা আইন ও সালিসকেন্দ্র, রাইটস যশোর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে এ সকল ঘটনা ইমেলের মাধ্যমে জানালে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশের ৩ নারীর মধ্যে চামেলি ও শিরিনা নামে দুজন ফেরত আসে। অপর নারী রুনা অজ্ঞাত স্থানে থেকে যান। এই প্রতিবেদকের কাছে চামেলি জানান, রুনাকে এতো বেশি নির্যাতন করা হয়েছে সে বেঁচে আছে কি-না তার সন্দেহ।

আরডিসির নির্বাহী প্রধান আব্দুর রহমান জানান, ২০ দিন ধরে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হয়েছে।  সবশেষ সরকার ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কাগজপত্র না পাঠানো হলে হয়তো তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।