আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেটের ২ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর চাহিদামাফিক উৎকোচ দিতে না পারায় গড়চাপড়া গ্রামের আব্দুল আজিজকে মিথ্যা অস্ত্রমামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল তিনি আলমডাঙ্গায় উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত পঠিত বক্তব্যে রজিনা খাতুন বলেন- তার স্বামী আব্দুল আজিজকে গত ৫ আগস্ট শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের কুটির চা’র দোকান থেকে শাদা পোশাকে মোটরসাইকেলে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ইতোমধ্যে ৭ আগস্ট দিনগত রাতে একটি মোবাইল নম্বর থেকে রিং দেয়া হয় রোজিনা খাতুনের চাচা শ্বশুর হেলালের নিকট। চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেটের রাসেল গার্মেন্টস’র মালিক রাসেল ও ঈমন গার্মেন্টস’র মালিক আশরাফুল ওই রিং করে মোবাইলফোনে আব্দুল আজিজের মুক্তি বাবদ ৭ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে আজিজকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয় বলে উল্লেখ করেন রোজিনা খাতুন। পরে ২ গার্মেন্টস ব্যবসায়ির সাথে ৫ লাখ টাকার মীমাংসা হয়। প্রতিশ্রুতি মতো সেই রাতে রোজিনা খাতুনের ছোট ভাই জনি চুয়াডাঙ্গায় গিয়ে ৫০ হাজার টাকা ওই ২ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দেন। বাকি সাড়ে ৪ লাখ টাকা পরদিন সকালে পরিশোধ করলে ডিবি পুলিশ আ. আজিজকে ছেড়ে দেবেন এমন প্রতিশ্রুতি দেন ওই গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদ্বয়। ৮ আগস্ট সকালে ওই দুই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোবাইল করে আটক আব্দুল আজিজের স্বজনদেরকে ডেকে নিয়ে বাকি টাকা দাবি করেন। সে সময় তাদের কথায় আশ্বস্ত হতে না পেরে বাকি টাকা না দিয়েই তারা বাড়ি ফেরেন।
অথচ ওই ৮ আগস্ট রাতেই বাকি সাড়ে ৪ লাখ টাকা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে আব্দুল আজিজকে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ অস্ত্র দিয়ে চালান দেয়। রোজিনা খাতুন আরও উল্লেখ করেন, তার স্বামীর নামে কোনো থানা কিংবা আদালতে মামলা নেই। মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাকে অস্ত্র দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট তার স্বামী আব্দুল আজিজের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতির জোর দাবি জানিয়েছেন।