মাথাভাঙ্গা মনিটর: মৃত্যুর ২১ বছর পর জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। আমেরিকা প্রবাসী এক নারী যিনি সালমান শাহ হত্যা মামলার একজন আসামি এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, সালমানকে খুন করা হয়েছে। গত সোমবার ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় রাবেয়া সুলতানা রুবি নামের ওই নারী জানান, এ হত্যাকাণ্ডে তার ভাই ও তার চীনা স্বামী এবং সালমানের স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার জড়িত। তিনি বলেছিলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই, সালমান শাহ খুন হইছে। আমার হাসব্যান্ড এইটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। আমার হাসব্যান্ড করাইছে, এইটা সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাসব্যান্ডরে দিয়ে, সবাইরে দিয়ে, সব চাইনিজ মানুষ ছিলো। সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই, সালমান শাহ খুন হইছে। তবে ওই ভিডিও শেয়ারের মাত্র দুইদিন পর ভোল পাল্টালেন রুবি। তার আগের দেয়া বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন তিনি। গতকাল বুধবার নতুন করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সালমান শাহ হত্যা মামলার অন্যতম এই আসামি। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, আমি ভাইরাল-টাইরালে বিশ্বাসী না। এটা নীলা ভাবির জন্য একটা মেসেজ ছিলো। এটা আত্মহত্যা নাও হতে পারে। এটা খুন হতে পারে। আমার মুখ দিয়ে অন্য কথা বের হয়ে গেছে। এটা রং ছিলো। যাই হোক কে কী মনে করলো আমার তাতে কিছুই আসে যায় না।
রুবি দাবি করেন, নীলা ভাবির সাথে আমার কথা হয়েছে। মামলায় তিনি আমার নাম দেননি। দিয়েছেন নীলা ভাবির জামাই। রুবি সব কাজই করতে পারে, খুন করে নাই। খুন করার সাহস আমার নাই। রুবি যখন ভিডিওতে ছিলেন তখন তাকে বেশ রাগন্বিত দেখা যায়। বিশেষ করে বেশ কয়েকজন তাকে ফোন করছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ফোন নম্বর দিয়ে আমি ভুল করেছি। আমি কোনো বাঙালির সাথে কথা বলতে চাই না। বাঙালি কিছুই বুঝে না। বুঝলে ২১ বছর এটা ঝুলে থাকতো না। তিনি বলেন, যদি এফবিআই-সিআইডি নিয়ে আসেন তাহলে কথা বলবো। কোনো বাঙালির সাথে কথা বলবো না। রুবি আরও বলেন, ঘটনা আরও আছে। সামিরা, লুসিকে আরও জিজ্ঞাসা করেন। বারবার যেই সত্য কথা বলতে যায় সেই খুনি। আর বারবার আমার স্বামী মারছে, আমি মুখ দিয়ে একটা কথা বলে ফেলছি। আমার স্বামীর প্রমাণটা আগে পেয়ে নেই। তারপর আমি দেখাবো। এ সময় রুবি আরও বলেন, সামিরা কেন কথা বলে না? সামিরা কেন সামনে আসে না? ওকি ভিআইপি? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর থেকেও কী ওপরে যে উনি কথা বলতে পারেন না? জনগণের সামনে আসতে পারে না? কেন ওনার ভয়? কারণ কথা বলতে পারবে নাতো, জবাব নাইতো। তিনি আরো বলেন, সামিরা কেন সামনে এসে বলে না যে, আমি কি করেছি, আমাকে নিয়ে কেন এতো প্রশ্ন বা আমার কি কারণ ছিলো যে আমি ওকে খুন করবো। কিছুইতো বলে না ও, যা বলে ওর বাপ শফিকুল হক হীরা। ভিডিওতে রুবি বলেন, আমার কিছু হলে কিন্তু কোনোদিন ভাববেন না বাইরের মানুষ কিছু করেছে। আমার কাছের মানুষই করেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ’র রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তখন ধারণা করা হয় সালমান আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ দাবি নাকচ করে ছেলের মৃত্যুতে হত্যা মামলা করেন সালমানের মা নীলা চৌধুরি। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়। এতে সামিরা ছাড়াও আসামি ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ। মামলার একজন আসামি ছিলেন ভিডিওবার্তা প্রচারকারী রাবেয়া সুলতানা রুবি।