চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

 

কাল ১ লাখ ৩৬ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সদর হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, এবার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭ জন শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কাল শনিবার ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম। এ সময় প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করেন পুষ্টি বিষয়ক কর্মকর্তা রুমানা আক্তার। জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর গোলাম ফারুকের সঞ্চলনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইপিআই সুপারভাইজার আব্দুল ওহাব।

সিভিল সার্জন জানান, এবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১৬ হাজার ২৮১ জন শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল এবং ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৬ জন শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এজন্য মোট কেন্দ্র করা হয়েছে ৯৬৫টি। আউটরীচ টিকা কেন্দ্র রয়েছে ৮৮৮টি। স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ৭টি। অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্র ৪৬টি। ভ্রাম্যমাণ টিকাদান কেন্দ্রে রয়েছে ২৪টি। মোট ১ হাজার ৯৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক একাজে সহায়তা করবেন। একাজে স্বাস্থ্য সহকারী, টিকাদানকর্মী ও প. ক. সহকারী কাজ করবেন ৩১০ জন এবং ১ম সারি তত্ত্বাবধায়ক রয়েছে ১১৩ জন। এছাড়া, মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান ভিটামিন-এ প্লাস কার্যক্রম। ভিটামিন-এ প্লাস খাওয়ালে শুধু রাতকানা নয়, অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেকোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন। বিশ্রে ২০টি দেশে এই কর্মসূচি চলছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।