জীবননগর ব্যুরো: মেহেদীর রঙ এখোনা মোছেনি। বিয়ের মাত্র ২০ দিনের মাথায় লাশ হলো জীবননগর হাসাদাহ ঘুষিপাড়ার নববধূ বৈশাখী (১৯)। গতকাল সোমবার রাতে ঘরের ফ্যানের সাথে তাকে মৃত অবস্থায় ঝুলতে দেখা গেছে। বিয়ে পাগল সামাউলের (২৮) বৈশাখী ছিলো ৫ম স্ত্রী। বৈশাখী আত্মহত্যা করেছে না কি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে তা নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ঘুষিপাড়ার আরজুল্লাহ ছেলে সামাউল। তার বয়স মাত্র ২৮ বছর। এ বয়সেই সে এলাকায় বিয়ে পাগল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। একে একে বিয়ে করেছে ৫টি। সর্বশেষ সে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের মেয়ে বৈশাখীকে ৫ম স্ত্রী হিসেবে মাত্র ২০ দিন আগে বিয়ে করে। একের পর এক নিজের বিয়ে কথা গোপন করে বিয়ে করাতে পূর্বের ৪ স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সম্প্রতি তারানিবাসের ৪র্থ স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সে তার পূর্বের বিয়ের কথা গোপন করে বৈশাখীকে বিয়ে করে। এ বিয়ের পর সংসারে চরম অশান্তি দেখা দেয়। বিয়ে পাগল সামাউলের একের পর এক বিয়ের কারণে মেহেদীর রঙ না মুছতেই গত রাতে লাশ হতে হলো বৈশাখীকে এমন মন্তব্য এলাকাবাসীর। তার এ মৃত্যু নিয়ে গ্রামটিতে রহস্যের সৃষ্টি করেছে।