কক্সবাজারের সাবেক ডিসি আবারও কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার: মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুত প্রকল্পের দুর্নীতি মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে আবারও কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক নির্দেশিত হয়েই গতকাল রোববার তিনি কক্সবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিক আজিজের আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। ইতোপূর্বে হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্ত রুহুল আমিনের জামিনের আদেশ বাতিল করতে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল আবেদন দায়ের করে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও মীর্জা হোসেন হায়দার এর সমন্বয়ে গঠিত আপীল বিভাগের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ হাইকোর্টের দেয়া রুহুল আমিনের জামিনের আদেশ বাতিল করে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্র এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষেই আদালত এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুত প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ভুয়া মালিকানার দলিল তৈরি করে ক্ষতিপূরণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে ডিসি রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাতারবাড়ির কায়সার চৌধুরী বাদী হয়ে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, এডিসি (রাজস্ব) জাফর আলমসহ ২৩ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
দিয়াজের মৃত্যুর কারণ হত্যামূলক : ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন
স্টাফ রিপোর্টার: আত্মহত্যা করেননি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যুর কারণকে ‘হত্যামূলক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন রয়েছে। আজ সোমবার প্রতিবেদনটি আমরা হাতে পাবো। প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, দিয়াজ আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। শ্বাসরোধজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন একটি বাসা থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও চবি কমিটির সাবেক যুগ্মসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। চমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে প্রথম দফা ময়নাতদন্তে দিয়াজের মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়
ফেসবুকে নিজের অশ্লীল ছবি দেখে তরুণীর আত্মহত্যা
স্টাফ রিপোর্টার: ফেসবুকে অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয়ার অপমান সইতে না পেরে কুমিল্লার লাকসামে স্মৃতি আক্তার (১৮) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। তার মৃত্যুর জন্য আলম নামে এক যুবককে দায়ী করে কয়েকটি চিরকুট লিখে গেছেন ওই তরুণী। নিহত স্মৃতি আক্তার উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের অশ্বতলা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তিনি লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, স্মৃতি আক্তার শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ডাকতে গিয়ে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে তার মা চিৎকার দেয়। আশপাশের লোকজন এসে ওড়না কেটে স্মৃতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।