গাংনীতে অতর্কিত হামলায় তামাক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত

 

গাংনী প্রতিনিধি: দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে এনামুল হক ওরফে ললো (৪০) নামের এক তামাক ব্যবসায়ী মৃত্যুশয্যায়। মেহেরপুর গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামে দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় গতরাত দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহত এনামুল হক ললো কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে ও ইউপি সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুলের ভাই।

স্থানীয় ও আহতের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, নওপাড়া গ্রামের এক আত্মীয়ের ছেলের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন এনামুল হক ললো। বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নওপাড়া গ্রামের ঈদগা মোড়ে মোটরসাইকেলযোগে পৌঁছান তিনি। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে। মোটরসাইকেল থামাতে বাধ্য হন তিনি। এ সময় কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ললোর ওপর আক্রমণ করে। এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। রক্তাক্ত জখম ললোকে প্রথমে নেয়া হয় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। আহতের স্বজনরা দ্রুত মাইক্রোবাসযোগে দ্রুত তাকে নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, তার পিঠে চারটি ও দুই উরুতে আরো কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। মাথার পেছনের অংশে ও ডান চোখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশংকাজনক।

এদিকে হামলার ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান ও তার পক্ষের লোকজনকে দায়ী করেছেন আহতের ভাই আজমাইন হোসেন টুটুল। তিনি অভিযোগে বলেন, সম্প্রতি ওই পক্ষের লোকজনের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এছাড়াও রয়েছে পুর্ব বিরোধ। বিরোধের কারণে তারা অতর্কিত হামলা করে ললোকে হত্যা করতে চেয়েছিলো বলেও ধারণা করছেন আহতের পরিবারের সদস্যরা। তবে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে সাবেক ইউপি সদস্য ও গাংনী উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান বলেন, এনামুল হক ললো কেমন মানুষ তা এলাকার সবাই জানে। তার ব্যক্তিগত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য কেউ হামলা করতে পারে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। আহতের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, হামলার পর থেকেই ক্ষতস্থান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল পাঠানো হয়। হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে।