কুড়–লগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুরের মৃত মুন্নাফ ম-লের ছেলে আলিহীমের বিরুদ্ধে রডের বদলে বাঁশের কাবারী দিয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনায় ওই গ্রামের সচেতন মহল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশক মহাদোয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দামুড়হুদার মডেল থানা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মুন্নাফ ম-লের ছেলে আলিহীম আলী নিজের সামান্য দক্ষতা দিয়ে অল্প জমির ওপর দুই কামরা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই ২য় তলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিলে বেশি টাকা খরচের ভয়ে রড কেনার পরিবর্তে বাঁশের কাবারি দিয়ে ২য় তলা বাড়ি নির্মাণ করেন। গ্রামের লোকজন ও তার আপন দুইসহোদর নিষেধ করলে তাদেরকে তোয়াক্কা না করেই নিজের খেয়ালখুশি যা ইচ্ছা তাই করেন। সম্প্রতি আবারও সেই দুর্বল ফিটনেসহীন ২য় তলা বিশিষ্ট বাড়ির ওপর একইভাবে ৩য় তলা ঘর নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিলে তার ভাই মহিম উদ্দীন নিষেধ করলে বাঁধে সংঘর্ষ। আলিহীম নিজের জমির ওপর নিজের যা ইচ্ছা তাই করার হুংকার জানিয়ে দাফিয়ে বেড়াচ্ছে।
এদিকে মহিম ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আলিহীম টাকা খরচের ভয়ে কাদা ও বাঁশের কাবারী ব্যবহার করে ঘর তৈরি করছে। সে এর আগেও ২য় তলায় বাশের কাবারী ব্যবহার করে বাড়ি তৈরি করে। বিল্ডিংয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। পাশের পরিবার গুলো মাথায় বিল্ডিং ভেঙে পড়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তারা জানান আমরা খুবই আতঙ্ক ও হতাশার মধ্যে বসবাস করছি। না জানি কখন ফিটনেসহীন বিল্ডিংটি ভেঙে আমাদের প্রাণনাশ ও সর্বসান্ত করে। বাঁশের কাবারী দিয়ে বাড়ি নির্মাণের এমন ঘটনায় গ্রামের মানুষ হতবাক। আর প্রতিবেশীরা আছেন অনেক আতঙ্কে। গ্রামবাসীর জানান, গত কয়দিনের বৃষ্টির পানিতে ঘরের পোতা বসে যাওয়ায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনার আগেই যাতে ঘরের কাজ বন্ধ হয় তা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি দেবার জন্য অনুরোধ করেছেন।