চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের ৬ কর্মকর্তার নিকট চাঁদা দাবি!

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের ৬ কর্মকর্তার নিকট সিরিজ চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। অপহরক, চাঁদাবাজ-বোমাবাজ গ্যাংগ্রুপের প্রধান বিশ্বজিত ও বিপ্লব পরিচয়ে পৃথকভাবে প্রত্যেকের নিকট মোবাইলফোনে এ চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল কাফি আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জানা গেছে, গত ২০ জুলাই দুপুরে ০১৮৭৭-০৪১৬৪৫ নম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা লাইভস্টোক অফিসার ডাক্তার শ্যামল কুমার পাল, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ক্যাশিয়ার আলমঙ্গীর হোসেন, অফিস সহকারী আসাদুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি, দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মশিউর রহমান, জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আনোয়ার হোসেনের নিকট চাঁদা দাবি করা হয়। অজ্ঞাত ব্যক্তি নিজেকে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির বিপ্লব গ্রুপের নেতা বিপ্লব ও বিশ্বজিত পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। তাদের পার্টির অনেক নেতা ভারতের কারাগারে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তাদের জন্য অনেক টাকার দরকার। টাকা না দিলে পরিবারসহ তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ১০ মিনিট পর পর ওই ৬ জন কর্মকর্তার নিকট মোবাইলফোনে রিং দিয়ে চাঁদা দাবি করে। ৬ জনের নিকট একই দিনে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। তাদের সকলেই প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা। কেন বেছে বেছে শুধু প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিকট চাঁদা দাবি করা হলো? এমন প্রশ্ন সকলের মনে। এদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে – কৃত্রিম প্রজনন স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তাদের কেউ কেউ এ গণ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, এ ঘটনায় থানায় জিডি দায়ের হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে যে মোবাইল নম্বর থেকে চাঁদা দাবি করা হয়েছে তার কললিস্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।