গৃহকর্মী নিখোঁজ : যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেস থেকে বাংলাদেশি কূটনীতিক প্রত্যাহার
মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাষ্ট্রে আরেক বাংলাদেশি কূটনীতিকের গৃহকর্মী নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। গৃহকর্মী নিখোঁজ হওয়ায় এবং এ নিয়ে কেলেঙ্কারি এড়াতে সরকার ওই কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল কাজী আনারকলির গৃহকর্মী সাব্বির (৩৯) নিখোঁজ হয়। সাত মাস ঘটনাটি চাপিয়ে রাখলেও সম্প্রতি বিষয়টি সামনে এলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে বদলি করে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা মিশনে পাঠিয়েছে। তাকে জাকার্তা দূতাবাসের মিনিস্টার (লোকাল) হিসেবে বদলি করা হয়। কূটনীতিক আনারকলি গত বছরের ফেব্রয়ারিতে লস এঞ্জেলেস মিশনে তিন বছরের জন্য যোগদান করেন। সরকারি খরচে সাথে নিয়ে যান গৃহকর্মী সাব্বিরকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কয়েক মাস পরেই সাব্বির নিখোঁজ হয়। গৃহকর্মী নিখোঁজের ঘটনাটি সম্প্রতি তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের কয়েকজন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে গৃহকর্মী ঠকানোর অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় নতুন করে ঝামেলা এড়াতে কাজী আনারকলিকে বদলির সিদ্ধান্ত নেয়। প্রসঙ্গত, গৃহকর্মীকে ঠকানো ও ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২০১৪ সালে কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এছাড়া গত মাসে ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলাম এবং জাতিসংঘে কর্মরত হামিদুর রশিদকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের জামিনে মুক্তি দেয় আদালত।
কেনিয়ায় ৯ জনকে শিরশ্ছেদ আল শাবাবের
মাথাভাঙ্গা মনিটর: কেনিয়ার উপকূলীয় লামু কাউন্টিতে নয়জনকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, এ হামলার পেছনে শাবাব জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমালি সীমান্তের কাছে জিমা ও পান্দাগৌ গ্রামে এ হামলা চালানো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলে হামলার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ হামলা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে চালানো হয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জঙ্গিরা জিমা ও পান্দাগৌ গ্রামে হামলা চালিয়ে ৯ জনকে হত্যা করে। তাদের ছুরি দিয়ে মুরগীর মতো জবাই করা হয়। এদের সকলেই বেসামরিক নাগরিক। উল্লেখ্য, এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে লামুতে এক পুলিশ ফাঁড়িতে হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
আবারও বিক্ষুব্ধ দার্জিলিং, সহিংসতায় নিহত ১
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশের গুলিতে তাদের এক সমর্থক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট। তারই প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে সোনাদায় একটি থানা ও বিশ্ববিখ্যাত ট্রয় ট্রেনের একটি স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশ বুথ ও গাড়িতেও। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিক্ষোভ ছড়ায় দার্জিলিং শহরেও। সেখানে বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশকে প্রথমে লাঠি চার্জ করতে হয়, তারপরে কাঁদানে গ্যাসের শেল, অবশেষে রবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলি বলছে দার্জিলিংয়েও একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু প্রশাসন এখনও দ্বিতীয় মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে নি। গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জি এন এল এফ দাবি করছে সোনাদা এলাকায় তাদের এক সহকর্মী যখন অনেক রাতে ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই পুলিশ তাকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। প্রশাসন এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে, তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কলকাতায় জানিয়েছেন, ‘কী করে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হলো, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কারও যদি দোষ থাকে তাহলে শাস্তি দেয়া হবে তাকে।’