বিশ্ব টুকিটাকি : সৌদির মসজিদে উদ্ধারকাজে প্রাণ গেলো বাংলাদেশির

সৌদির মসজিদে উদ্ধারকাজে প্রাণ গেলো বাংলাদেশির

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সৌদি আরবের জেদ্দার একটি মসজিদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণের পর উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি। নিহতের নাম ফেরদৌস খন্দকার (৪৫)ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার গ্রামের মৃত আনু খন্দকারের ছেলে। স্থানীয় সময় বুধবার ভোরের দিকে জেদ্দার সানাইয়া মসজিদে ওই ঘটনা ঘটে বলে নিহত ফেরদৌসের চাচা নিপু খন্দকার জানিয়েছেন।  তিনি জানান, ফজরের নামাজ পড়ে বেরুনোর সময় মসজিদের ইমামের আবাসিক কক্ষে বিকট শব্দে এসিরবিস্ফোরণ হয়। তখন ওই কক্ষে থাকা ইমামের ছেলেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান ফেরদৌসসহ কয়েকজন। এ সময় বিস্ফোরিত এসির বিষাক্ত গ্যাসে ফেরদৌসের শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। নিহত ফেরদৌস পাঁচ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। সবশেষ দুই বছর আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন।

তিনি সানাইয়াতেই একটি থাই-অ্যালুমনিয়াম তৈরির প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

পাখির সাথে সংঘর্ষ, উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কুয়ালালামপুরের পথে রওনা হওয়া একটি উড়োজাহাজের যাত্রীরা তীব্র ঝাঁকুনির শিকার হওয়ার পর সেটি অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২০ মিনিটে মালয়েশীয় এয়ারলাইন এয়ারএশিয়ার ওই এক্স ফ্লাইটটি ৩৫৯ জন যাত্রী নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্ট থেকে রওনা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি। রওনা হওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পর উড়োজাহাজটি নিরাপদে ব্রিসবেনে অবতরণ করে। পাখির সাতে সংঘর্ষের কারণে বিমানটি ঝুঁকির মুখে পড়েছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটির ফিরে আসার আগে তারা জোরালো শব্দ শুনতে পেয়েছেন এবং একটি ইঞ্জিন থেকে আগুনের ফুলকি উঠতে দেখেছেন। উড়োজাহাজটি ফিরে আসার পর রানওয়ে থেকে দুটি পাখির দেহাবশেষ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইনটি। টিম জোগা নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন, তিনি ‘চার থেকে পাঁচবার প্রচণ্ড শব্দ’ শোনার পর উড়োজাহাজের বাইরের দিকে ‘কমলা রংয়ের আলো’ দেখেছেন। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে তিনি বলেছেন, ঝাঁকুনি শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার প্রচণ্ড শব্দ হয় এবং অনেক আলোর ঝলকানি দেখা যায়। উড্ডয়নের কিছু সময় পরই এ ঘটনা ঘটে বলে জানান এরিক লিম নামের আরেক যাত্রী। ফেইসবুকে তিনি লিখেছেন, একের পর এক স্ফুলিঙ্গের সঙ্গে বুম বুম বুম শব্দ শোনা যাচ্ছিলো আর কিছু মানুষ ‘ও মাই গড, ও মাই গড’ বলে চিৎকার করছিলো। এয়ারএশিয়ার এক্সের প্রধান নির্বাহী বেনিয়ামিন ইসমাইল বলেছেন, ঘটনার সময় যাত্রীদের আশ্বস্ত করতে পাইলট ও ক্রুরা ‘তড়িৎ পদক্ষেপ’ নেন।  গত সপ্তাহেও একই এয়ারলাইন্সের অপর একটি উড়োজাহাজ ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে ‘ওয়াশিং মেশিনের মতো ঝাঁকাতে থাকার পর’ পার্থে ফিরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছিলো। এই মাসের শুরুতে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজও ইঞ্জিনের খোলে বড় গর্ত নিয়ে সিডনিতে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছিলো।  ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এয়ারএশিয়ার একটি উড়োজাহাজ জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে ১৬২ যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছিলো।

যুক্তরাষ্ট্রে হেলিকপ্টার চুরির চেষ্টাকালে গুলিতে নিহত ১

মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যের হিলসবরোর একটি বিমানবন্দর থেকে একটি হেলিকপ্টার চুরির চেষ্টাকালে সশস্ত্র এক সন্দেহভাজনকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। গত সোমবার সকালে হিলসবরো এ্যারো অ্যাকাডেমির সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে অরেগনের স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে। এ ঘটনার পর অরেগনের বৃহত্তম শহর পোর্টল্যান্ড থেকে ১৫ মাইল দূরের বিমানবন্দরটিতে সব ধরনের বিমানের উঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। হিলসবরো পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র বিমানবন্দরে গোলাগুলির একটি ঘটনা ঘটেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন, তবে ঘটনার বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। স্থানীয় সংবাদপত্র অরেগনিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকাল প্রায় ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে হিলসবরো এ্যারো অ্যাকাডেমির সামনে একজন ফ্লাইট ইন্সট্রাক্টর ও এক ছাত্র ওই সন্দেহভাজনকে বাধা দিয়েছিল, এ সময় সে এক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে কিছুক্ষণের জন্য একটি হেলিকপ্টারে উঠে পড়ে। সে সময় সেখানে হিলসবরো পুলিশের এক কর্মকর্তা এসে উপস্থিত হলে হেলিকপ্টার রেখে ওই বন্দুকধারী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার পিছু ধাওয়া করে নিকটবর্তী মাঠে তাকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই সে তার মৃত্যু হয়।  ওই ফ্লাইট ইন্সট্রাক্টর ও তার ছাত্রটির কোনো আঘাত লাগেনি বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।