এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া চুয়াডাঙ্গার একজনকে ধরে পিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে জনতা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে এক ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয়ের পর ছিনতাইকালে এক চুয়াডাঙ্গার একজনকে জনতা ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। অপরজন পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির বাড়ি আলমডাঙ্গায় বলে জানিয়েছে। আর হাতেনাতে ধরাপড়া ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পীতম্বপুর গ্রামের ইউসুফ বলে পরিচয় দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কালীগঞ্জ ভূষণ স্কুল রোডে অবস্থিত সড়ক ও জনপদ অফিসের সামনে।
স্থানীয়রা জানায়, একটি পালসার মোটরসাইকেলযোগে ২ ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভূষণ স্কুলরোডে অবস্থিত সড়ক ও জনপদ অফিসের সামনে দাঁড়ায়। এ সময় কলেজপড়ুয়া এক ছাত্র তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গতিরোধ করে তার নিকটে থাকা একটি কম্পিউটার ও ট্যাব ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে আগন্তুকদ্বয় এনএসআই’র কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। উপস্থিত লোকজন পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় চুয়াডাঙ্গার পীতম্বর এলাকার মৃত আ. মান্নানের ছেলে ইউসুফকে (২৫) আটকে ফেলে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। তার অপরসঙ্গী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা এলাকার ইমরান (২৫) সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছিনতাইকারীদের মাজায় পিস্তলের খাপ ঝুলছিলো।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, তারা বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে একটি সিমফনি ও স্যামসাং মোবাইলফোন ছিনতাই করে বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জে এসে ট্যাব ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ইউসুফ আলী একটি ছিনতাই মামলায় ৩ মাস জেল খেটে ঈদের এক সপ্তাহ আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। কালীগঞ্জ থানায় দুজনের নামে মামলা হয়েছে। ইউসুফ আলী জানায়, তারা দীর্ঘদিন দুজনে বিভিন্ন এলাকায় এনএসআই পরিচয় দিয়ে এভাবে ছিনতাই ও প্রতারণা করে আসছিলো।