স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক দানেশ ম-ল ঈদের পরদিন ৭/৮ জনকে নিয়ে আমঝুপি নীলকুঠি ও মুজিবনগরে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশই শুধু দেয়া হয়নি, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার বিষয়টি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য শিশু রোগীকে বল্লভপুর হাসপাতালে রেফার্ড দেখানোর মধ্যদিয়ে কয়েক চিকিৎসকের সংশ্লিষ্ঠতাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ঈদের পরদিন সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকা-য়-১৪৮ নম্বর অ্যাম্বুলেন্সটি মেহেরপুর জেলা সদরের আমঝুপি নীলকুঠির প্রধান গেটের সামনে থেমে ছিলো। অ্যাম্বুলেন্সযোগে নীলকুঠি পরিদর্শনে যাওয়া কয়েকজনকে দেখে প্রথমে সন্দেহ হয় অন্যান্য পর্যটকদের। রোগী নয়, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে কাজে লাগানো হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স? অবশ্য এ প্রশ্নটি তখনই জোরদার হয়, যখন একই আরোহীদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি মুজিবননগর কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে। প্রশ্ন তোলার পর অ্যাম্বুুলেন্স চালক প্রথমে বলেন, একজন চিকিৎসকসহ তার পরিবারের লোকজন এসেছেন। ক্যামেরা তাক করতেই তিনি দ্রুত সরে পড়েন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানানো হয় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে। অ্যাম্বুলেন্সের ছবিসহ ফেসবুকে ইস্টাটাস দেন কয়েকজন সাংবাদিক। নানা জনে নানা মন্তব্য করতে থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জীবননগর উপজেলরা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, অ্যাম্বুলেন্স চালককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে জীবননগর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদ বীন হেদায়েতকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। অপরদিকে সূত্র বলেছে, ঘটনাটি যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যন্ত গড়িয়েছে তখনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমেøক্স থেকে এক শিশুকে মুজিবননগর বল্লাভপুর হাসপাতালে রেফার্ড দেখানো হয়েছে। যদিও রেফার্ড দেখানো সময়ের সাথে আমঝুপি নীলকুঠির সামনে অ্যাম্বুলেন্সের অবস্থানে ক্ষেত্রে রয়েছে অসঙ্গতি। তদন্ত দলকি এসব ক্ষতিয়ে দেখবে? জবাব জানার অপেক্ষায় এখন অনেকে।