আলমডাঙ্গা ব্যুরো: এবারের ঈদ একটু অন্যরকম। কারণ আগাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া এবারের ঈদে আচড়ে পড়েছে। পুরো রমজানজুড়েই কমবেশি তার প্রভাব ছিলো লক্ষ্যণীয়। চলেছে ইফতার রাজনীতি। আগেভাগেই নির্চাচনি গণসযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের দফতর সম্পাদক হারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম পানু। পুরো রমজান মাস ও ঈদ পরবর্তিতে তিনি নিরলসভাবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও হাটবাজারে সংযোগ করছেন।
এছাড়া জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সদ্য যোগদানকারি কমান্ডার শহিদুর রহমান (পিএসসি নেভী) রমজানে দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য ইফতার পাটির আয়োজন করেছিলেন। এখানে জাতীয়পাটির দুটি অংশ। সভাপতি ও সম্পাদকসহ উপজেলা জাতীয় পাটির অধিকাংশ নেতাকর্মী রয়েছেন জেলা সভাপতি অ্যাড সোহরাব হোসেনের পক্ষে। অন্যদিকে, শহিদুর রহমানের পক্ষে আছেন পৌর সভাপতিসহ দলের একাংশ। দুজনই দলের মনোনয়ন প্রার্থী। এতোদিন শহিদুর রহমান একাই আঞ্চলিকতার ধোয়া তুলে আসছিলেন। কারণ আঞ্চলিকতার ধোয়া টেকসই হলে চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের বৃহত্তর অংশ আলমডাঙ্গার প্রার্থীর পোয়াবারো। কিন্তু তার সে আশায় বালি ঢেলেছেন অ্যাড সোহরব হোসেন। তিনিও আলমডাঙ্গার সন্তান। জাতীয়পার্টিতে যতো না বেশি গণসংযোগের কাজ চলছে, তারচে’ বেশি চলছে পরস্পরের প্রতি বিষোদগার উদগিরণ। ফেসবুকের পাতায় চোখ রাখলেই তা স্পষ্ট হয়।
উপজেলা আওয়াম ীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা হাসান কাদির গনু নিজ বাড়িতে ২ দিন ধরে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। অনেকে দাবি করছেন ওই ইফতার মাহফিল ছিলো নির্বাচনি যোগাযোগের একটা মোক্ষম মাধ্যম। ঈদের পরদিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কেদ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেখ সামসুল আবেদীন খোকন বাড়িতে ঈদোত্তর প্রীতিভোজের আয়োজন করেন। এ সবই আগাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এমন দাবি ক্রমেই শহরে উচ্চকিত হচ্ছে।