চুয়াডাঙ্গার শঙ্করচন্দ্রে ঈদগা কমিটি গঠন নিয়ে মারামারি : উভয়পক্ষের আহত ৩

 

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: ঈদগা কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা নিয়ে গ্রামবাসীর দু গ্রুপের মারামারিতে উভয়পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের এক গ্রুপের দুজন সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে এবং অন্য গ্রুপের একজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র প্রাইমারি স্কুলপাড়ায়। এ ব্যাপারে শঙ্করচন্দ্র গ্রামের স্কুলপাড়ার আমিরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন ইংরেজ অভিযোগ করে বলেন, শঙ্করচন্দ্র স্কুলপাড়ার ঈদগা কমিটির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের ছন্টু মসজিদে খুতবার সময় দাঁড়িয়ে ইংরেজের বিরুদ্ধে অপমানজনক কথা বলতে থাকে এবং কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। এ সময় ইংরেজের দু ছেলে ছন্টুর কথার প্রতিবাদ করলে ছন্টুর লোকজন তাদের মারতে উদ্যত হলে অন্য মুসুল্লিদের মাধ্যমে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আসে। নামাজের পর ইংরেজ মসজিদে এসে তার বিরুদ্ধে এ সব অপমানজনক কথা বলা এবং তার দুই ছেলেকে মসজিদের ভেতর মারতে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে পরিস্থিতি আবার ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ করা হয়। এ সময় উপস্থিত মুসল্লিদের সহায়তার পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর আনোয়ার হোসেন ইংরেজ সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পে ছন্টু গ্রুপের নামে মামলা করতে গেলে এ সুযোগে ইংরেজের বাড়িতে এসে ছন্টুর বোন চায়না ও আবুল হোসেন ইংরেজের ছেলে তাজকে ধরে রাখে এবং এলেমের ছেলে আশাদুল এবং সন্টুর ছেলে তাইম হোসেন তাদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে হাঁটুতে ও ডান হাতে কোপ মারে। সংবাদ পেয়ে বাড়ি এসে তাজকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে শঙ্করচন্দ্র গ্রামের মসলেমের ছেলে ফরজ জানান, জুম্মার নামাজের খুতবার সময় ছন্টু দাঁড়িয়ে ঈদগা কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিলে এ সংবাদ ইংরেজের নিকট পৌঁছুলে নামাজের পর ইংরেজ মসজিদের নিকট হেঁসো নিয়ে এসে বলে কে আমাকে বাদ দিয়ে ঈদগা কমিটি গঠন করবে। তার কলা কেটে নেবো। এ সময় মসজিদের সামনে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে মুসল্লিরা উভয়পক্ষকে শান্ত করে বাড়ি পাঠিয়ে দিই। কিছুক্ষণ পর ছন্টুর বোন চাইনা ইংরেজদের বাড়ির পাশ দিয়ে নিজের বাড়িতে যাওয়ার সময় ইংরেজের ছেলে তাজ চাইনাকে মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে চায়নার ভাই আবুল ঠেকাতে আসলে আবুলকে সাইকেলের রড দিয়ে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। ওদের দু,জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সাধারন মানুষ মুখ খুলতে চাননি।