দুটি সেমাই মিলে জরিমানা ॥ মুড়ি মিল মালিককে করা হলো সতর্ক

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনেটারি ইন্সপেক্টরের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত
স্টাফ রিপোর্টার: ঈদের দিন সকালটা শুরুই হয় সেমাই মুখে দিয়ে। সেই সেমাই মিলগুলোতে কি সেমাই প্রস্তুতে পরিবেশ আছে? প্রশ্নের জবাব জানতেই গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি মিলে হাজির হয়। দৌলাতদিয়াড় ও হাতিকাটা মোড়ের দুটি সেমাই মিলের পরিবেশ অস্থাস্থ্যকর হওয়ায় উভয়কেই গুনতে হয়েছে জরিমানা। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক চুয়াডাঙ্গার বেশ ক’টা মুড়ি মিল ও ফলের দোকানিদের সতর্ক করেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজের অদূরেই রয়েছে হক টেডার্স নামের সেমাই কারখানা। গতকাল এ কারখানায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অস্বাস্থ্য পরিবেশ দেখে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯’র ৫৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। উপস্থিত ম্যানেজারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হলে তা সাথে সাথে আদায় হয়। হাতিকাটা মোড়ের অদূরবর্তী সেমাই মিলেও একই ভ্রাম্যমাণ আদালত একই আইনে মিল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা সাথে সাথে আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী নজামুল হক জানিয়েছেন, নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহযোগিতায় ছিলেন জেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর ওমর ফারুক ও পুলিশ লাইনের একদল পুলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালত দৌলাতদিয়াড় ও আলোকদিয়ার কয়েকটি মুড়ি মিলের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত করার জব্য সতর্ক করে দেন। বড় বাজাারের ফল ব্যবসায়ীদের ফলে কেমিকেল সম্পর্কে সচেতন করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।