স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর তিতুদহ ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য শাহারবানুর বিরুদ্ধে কর্মসৃজন লেবারদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে আত্মসাতের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে শাহারবানু। অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, সঠিক নজদারি না থাকায় তিতুদহ ইউনিয়নে কর্মসৃজন কাজের টাকা নয় ছয় হয়ে থাকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের কর্মসৃজন কাজের কয়েকজন লেবারের অভিযোগে জানা গেছে, গত ৬ মে থেকে সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নের ন্যায় তিতুদহ ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির কাজ শুরু হয়। প্রকল্প হিসানুযায়ী ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য শাহারবানু ২০টি লেবারের পিআইসি হন। চার সপ্তাহ কাজ করার পর গত ২৫ মে লেবারদের তিন সপ্তাহের ১৪ দিনের কাজের জন্য প্রত্যেককে ২ হাজার ৪৫০ টাকা দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য শাহারবানু তার লেবারদের নিকট থেকে জোরপূর্বক চেক লিখে নিয়ে তিনি নিজে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলে নিয়ে আসেন। পরে ওই টাকা থেকে ৯ লেবারের প্রত্যেকের নিকট থেকে ৪৫০ টাকা করে কেটে রাখেন। এ নিয়ে লেবারদের মধ্যে অসন্তোষ দানাবাঁধে। নাজমুল, পটল জোয়ার্দ্দার, জুব্বার আলী, মনিরুল ইসলাম, আলামিনসহ অনেকেই গত বৃহস্পতিবার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃনাল কান্তি দের নিকট যান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেনকে দেখার জন্য বলেন। এনিয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন সকল ইউপি সদস্য এবং অভিযোগকারী লেবারদের নিয়ে পরিষদ হলরুমে বসেন। লেবারদের অভিযোগ শোনার পর কেটে রাখা টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় অভিযুক্ত মহিলা মেম্বার শাহারবানু। একটি সূত্র বলেছে, যে সমস্থ লেবারদের কামাই থাকে সে সমস্থ লেবারদের টাকাতুলে সে টাকা থেকে অর্ধেক টাকা লেবারদের দেয়া হয় বাকি টাকা মেম্বার নেই। গত বিলের টাকা লেবারদের না দেয়ার কারণে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃনাল কান্তি দে বলেন, লেবাররা আমার কাছে আসলে আমি তাদেরকে চেয়ারম্যানের নিকট সুরাহ করার জন্য পাঠিয়ে দেয়। শেষমেষ কি হয়েছে জানতে পারিনি। ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, শুনানি শেষে লেবারদের টাকা ফেরত দিয়েছে শাহারবানু। সেই সাথে প্রত্যেক মেম্বারকে বিধিমোতাবেক কর্মসৃজনের কাজ বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে অভিযুক্ত মহিলা মেম্বার শাহারবানু তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।