পুলিশ সুপার ববারর অভিযোগ : থানায় জিডি
স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদার টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিকদের মারধর করে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মৎসচাষি মহসীন হোসেন নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ ও সদর থানায় একটি জিডি করেছেন। তিনি বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মৎসচাষি মহসীন হোসেন সাধুহাটি গ্রামের পাজাখোলা নামক মাঠে নিজ জমিতে পুকুর খনন করার জন্য শ্রমিক নিয়োগ করেন। সাধুহাটি ইউপি চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিন তার দলবল সাথে নিয়ে পুকুর থেকে মাটি বহনকারী গাড়িগুলো রাস্তা দিয়ে যাওয়া ও পুকুরের মাটি কাটা কাজ বন্ধ করে দেন এবং ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দরাদরির এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকায় বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়। কিছুদিন যেতে না যেতেই ওই পুকুর খনন করা দেখেই ফের চেয়ারম্যান নাজির নিজে উপস্থিত হয়ে লেবার হাসান, টিপু ,আরিফুল, রিপন ও মন্টুকে মারধর করে আহত করে এবং আটকে রাখে। পরে খবর পেয়ে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে। ওই সময় লেবারদের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে আপস-মীমাংসার নামে চেয়ারম্যান তার ক্যাডার তাহাজদ্দী ও উজ্জলকে দিয়ে মহসীনের কাছে আবারো ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা করেন। বর্তমানে এই টাকা না দেয়ায় চেয়ারম্যান নাজির পুকুরের খনন কাজ বন্ধ করে রেখেছেন এবং ভুক্তভোগী মৎস্যচাষি মহাসিন চেয়ারম্যান নাজির ও তার ক্যাডার বাহিনীর আতঙ্কে এলাকায় যেতে পারছেন না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় সাধুহাটি গ্রামের বাসিন্দা হাজি উমর আলীসহ কয়েকজন জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে চাঁদাবাজি করা তার ঠিক হচ্ছে না। এলাকাবাসীর সুবিধা অনুযায়ী যে যার ইচ্ছামতো কাজ করতে পারে। এখানে চেয়ারম্যান তো এই ধরনের কাজ করতে পারে না। ঘটনাটি নিয়ে সাধুহাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঁদাবাজির ঘটনা অস্বীকার করে জানান, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন কাজ করা হচ্ছে। যার ফলে এলাকার কৃষি জমি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আমি এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানিয়েছি। তবে এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার কাছে এরকম কোন অভিযোগ আসেনি এবং পুকুর খনন কাজ বন্ধের জন্য কোন নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি।