র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আলমডাঙ্গার ত্রাস বহু খুনের হোতা তিয়রবিলার ওল্টু মণ্ডল নিহত

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার পল্লি খাসকররা এলাকার ত্রাস কথিত পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা বহু খুনের হোতা তিয়রবিলার ওল্টু ম-লেরও শেষ পর্যন্ত পতন হয়েছে। গতরাত সাড়ে ১২টার দিকে তালুককররা-পারলক্ষ্মীপুরের মধ্যবর্তী কুড়ির মাঠে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় সে। র‌্যাব এ তথ্য দিয়ে বলেছে, তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গার হারদী হাসপতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওল্টু ম-ল (৪৩) তিয়রবিলা গাজিপাড়ার ঝড়– ম-লের ছেলে। সে দীর্ঘ ১৫ বছর হাজতবাস শেষে ৪ বছর আগে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফেরে। এরপর সে আবারও সে অন্ধকার জগতে পা বাড়ায়। নতুন পুরাতন অপরাধীদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলে। একের পর এক খুন মামলায় জড়াতে থাকে সে। সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল কাইতপাড়া বাওড় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়াকে গুলি করে খুন করে সেসহ তার লোকজন। খুনের সাথে জড়িত থাকা নৈশপ্রহরীসহ কয়েকজন পুলিশের হাতে ধরাপড়লে ওল্টুর নাম প্রকাশ করে। এছাড়ও গতবছর ওল্টু দিবালোকে গুলি করে খুন করে তার নিজ গ্রাম তিয়রবিলা বনপাড়ার নজরুল ইসলামকে। তিনি ছিলেন ক্লিনিক ব্যবসায়ী। এছাড়াও চাঁদাবাজি রাহাজানির কারণে ওল্টু ম-ল এলাকায় এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়ায়। গতরাতে তার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকের মধ্যেই স্বস্তি নেমে আসে।
র‌্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ আঞ্চলিক কমান্ডার মনির আহম্মেদ বলেছেন, গতরাতে একটি টহলদল চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তালুককররা-পারলক্ষ্মীপুর সড়কে টহলে গেলে মাঠ থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ চলে গুলির লড়াই। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে নেয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে দেখে বলেছে, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি এলাকার ত্রাস ওল্টু ম-ল।
র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পতন হওয়া ওল্টু ৬ ভাই এক বোনের ছিলো তৃতীয়। সে ছিলো অবিবাহিত।

Leave a comment