বাংলাদেশই ভালো করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা–নিউজিল্যান্ডের চেয়ে

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: স্লগ ওভারে প্রত্যাশা অনুযায়ী রান তুলতে না পারার মূল্য দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৮২ রান। ম্যাচ হারের ময়নাতদন্তে এসেছে ২০-৩০ রানের ঘাটতির কথা। কিন্তু টুর্নামেন্টে পরের দুটি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডও শেষ ১০ ওভারে সেভাবে ঝড় তুলতে পারেনি। গতকাল ওভালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ৭৮ রান, ৫০ ওভারে তাদের স্কোর ৬ উইকেটে ২৯৯। ইনিংসের শেষ দুই বলে জেপি ডুমিনির ১০ রান না তুললে প্রোটিয়াদের স্কোর ৩০০ ছুঁই-ছুঁই হয় না। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ম্যাচে দারুণ শুরুর পরও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড পুরোপুরি ৪৬ ওভার খেলতে পারেনি। ৩৬ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২২৫ থেকে ৪৫ ওভারে ২৯১ রানে অলআউট কিউইরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখন পর্যন্ত শেষ ১০ ওভারে রান তোলায় তাই বাংলাদেশই এগিয়ে। হাশিম আমলার ২৫তম সেঞ্চুরিতে আজ চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কদিন আগে বিরাট কোহলির কাছ থেকে দ্রুততম সাত হাজার রানের রেকর্ড কেড়ে নিয়েছেন আমলা। ভারতীয় অধিনায়কের আরেকটি রেকর্ড নিজের অধিকার নিয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার। দ্রুততম ২৫ ওয়ানডে সেঞ্চুরি ছিল কোহলির (১৬২ ইনিংসে), সেটি এখন আমলার (১৫১ ইনিংসে)। ৪৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বড় স্কোর এনে দিতে বড় অবদান ফাপ ডু প্লেসি-আমলার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করা ১৪৫ রান। রানআউটে কাটা পড়ার আগে আমলার রান ১০৩ আর নুয়ান প্রদীপের শিকার হওয়ার আগে ডু প্লেসি করেছেন ৭৫ রান। ৪০ ওভারে ৩ উইকেটে ২২১ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৩০-৩৪০ রান তোলা কঠিন ছিল না। কিন্তু ওই যে, শেষ ১০ ওভারে ঝড়টা তীব্র হয়নি প্রোটিয়াদের।