বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু : ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়
মাথাভাঙ্গা মনিটর: হাজারো বিতর্ক চললেও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য নিয়ে এতোদিন কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি ভারতের সরকার। তবে অবশেষে পর্দার আড়ালের এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললো দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, তথ্য অধিকার আইনে একটি প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৪৫ সালে তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাভাবিকভাবেই আচমকা এই ঘোষণায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। কলকাতার বাসিন্দা সায়ক সেনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, শাহনেওয়াজ কমিটি, বিচারপতি জি ডি খোসলা কমিশন ও বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশনের রিপোর্টগুলি বিবেচনার পরে সরকার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিলো। নেতাজির পরিবারের সদস্য ও দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে গোপন নেতাজি-নথি প্রকাশ করেছে মোদী সরকার। তবে এ নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক শুরু হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের মানুষের সামনে যেসব তথ্য রাখা ছিলো এবং বছর বছর ধরে সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, তার ভিত্তিতেই এই জবাব দেয়া হয়েছে।’ সরকারের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন নেতাজির পরিবারের সদস্যদের একাংশ। আর ফরওয়ার্ড ব্লকের জাতীয় সম্পাদক জি দেবরাজনের প্রশ্ন, অন্তর্ধান রহস্য সর্বশেষ খতিয়ে দেখেছেন যারা, সেই বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশনই বলেছিলো, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে তাইওয়ান সরকারের পাঠানো চিঠিও কমিশনের হাতে আসে। যেখানে বলা হয়েছিলো, ওই বিশেষ দিনটিতে তো নয়ই, তার আগে বা পরের সাত দিনের মধ্যেও তাইহোকু বিমানবন্দরে কোনো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। ফলে সরকার কীভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছল, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জুয়ার টেবিলে ৫ স্ত্রীকে বাজি রেখে হারলেন সৌদি রাজপুত্র
মাথাভাঙ্গা মনিটর: সৌদি আরব কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বাদশা, বাদশাপুত্রদের নিয়ে এমন ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে। তবে বর্তমানে তা কমেছে অনেকাংশে। সেই পুরানো বাজে সংস্কৃতির খবর যেনো আবারও সামনে এনে দিলেন সৌদি রাজপুত্র মাজেদ বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ। তার বউয়ের সংখ্যা মোট ৯ জন। যার মধ্যে জুয়ায় বাজি ধরে হারালেন পাঁচজনকে! কীভাবে হারলেন! সৌদি আরবের এই আলোচিত রাজপুত্র সিনাই প্রদেশের গ্র্যান্ড ক্যাসিনোয় ছয় ঘণ্টা ধরে জুয়া খেলছিলেন। মাদকের নেশায় হুঁশ খুইয়ে তাঁর ধন-সম্পত্তির সমস্তটা বাজি রেখেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সাথে ছিলো না। নিমেষে উড়ে যায় তাঁর বাজি ধরা ১.৩৫০ বিলিয়ন রিয়াল। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকার মতো। এরপরও তিনি জুয়ায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু কানাকড়ি কিছুই না থাকায় শেষপর্যন্ত নিজের ৯ স্ত্রীয়ের বাজি রেখে খেলা শুরু করেন। এক-এক করে পাঁচ স্ত্রীকেও খোয়ান মাজেদ। বিলাসবহুল জীবনযাপন ও নানা কেলেঙ্কারির জন্য বিশ্বখ্যাত মাজেদ। ওই ক্যাসিনোর মালিক আলি শামুন জানিয়েছেন, পাঁচ স্ত্রীকে বিক্রি করে ২৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬১ কোটি টাকা) পেয়েছিলেন মাজেদ। তারপর পাঁচ স্ত্রীকে এক ব্যক্তির দিকে ঠেলে দিয়ে ফের জুয়া খেলায় মনোনিবেশ করেন। এর আগে অনেকে নিজের ঘোড়া, উট, বাড়ি বাজি ধরে জুয়া খেলেছেন। পরে আবার অর্থ দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম কেউ বউদের বিক্রি করলো এবং পরে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করলেন না৷
ট্রাম্পের খণ্ডিত মস্তক হাতে, চাকরি গেলো উপস্থাপকের
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ট্রাম্পের খণ্ডিত মস্তক হাতে, ঝরছে ফোটা ফোটা রক্ত। বিশ্বের ক্ষমতার প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের এমন ছবি প্রকাশ করায় চাকরি গেলো খ্যাতিমান কৌতুক অভিনেতা ও সিএনএনের উপস্থাপক ক্যাথি গ্রিফিনের। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে ছবিটি প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ক্ষমা চান গ্রিফিন। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সিএনএন কর্তৃপক্ষ গ্রিফিনকে চাকরিচ্যুত করে। ওই ছবি প্রকাশের পর গ্রিফিনের মানসিক সুস্থ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প। এক টুইটটার বার্তায় ট্রাম্প গ্রিফিনকে ‘অসুস্থ’ উল্লেখ করে বলেন, ‘গ্রিফিনকে লজ্জিত হওয়া উচিত। এই ছবি নিয়ে তার (ট্রাম্প) ১১ বছর বয়সী ছেলে ব্যারন বাজে সময় পার করছে।’ মেলানিয়া ট্রাম্প বলেছেন, একজন মা, একজন স্ত্রী ও একজন মানুষ হিসেবে তিনি বলতে চান, ছবিটি অস্বাভাবিক। এই ধরনের ছবি দেয়া ঠিক হয়নি। এই কাজ যিনি করেছেন, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে অবাক হতে হয়।’