‘সাবধান! চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবারও ছদ্মবেশে ঘুরঘুর করছে চোর
স্টাফ রিপোর্টার: ‘সাবধান! চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবারও ছদ্মবেশে ঘুরঘুর করছে চোর। সুযোগ পেলেই চোখের পলকে করবে সর্বনাশ।’ গতপরশু রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্ত্রীর গলার চেন, কানের দুল চুরি হলে সেবিকাদেরই কেউ কেউ এভাবেই রোগী ও রোগীর লোকজনকে সতর্ক করতে থাকেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রি লিটন (৩৪) গতপরশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হন। তাকে সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। বিকেলে ভর্তি করিয়ে স্বামীর সেবা-যতেœ ক্লান্ত হয়ে শয্যাপাশেই ঘুমিয়ে পড়েন স্ত্রী আফরোজা খাতুন। রাত ২টার দিকে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখে কানে নেই দুল, গলায় নেই চার আনা সোনার চিকন চেন। খোঁজ খোঁজ করে বিছানা ঝেড়ে কি আর পাওয়া যায়? ওসব যে ছদ্মবেশে ঘোরা চোরই সুযোগ বুঝে গলা ও কান থেকে সোনার গয়না চুরি করে নিয়ে গেছে তা বুঝতে বাকি থাকেনি কারো।
হাসপাতালের একাধিক সেবিকা অভিন্ন ভাষায় বলেছেন, মাঝে বেশ কিছুদিন নেশাখোর চোর চক্রের উৎপাত বন্ধ ছিলো। আবার বেড়েছে। এর আগে চোখের পলকে ওই চোরের দল ওষুধপথ্য পর্যন্ত চুরি করতো। কয়েকজনকে ধরে পুলিশে দেয়ার পর অপৎপরতা কমলেও আবার বেড়েছে। ছদ্মবেশে ঘোরা চোর ধরতেও দরকার ছদ্মবেশ। কিন্তু কে বাঁধবে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা?