মাথাভাঙ্গা মনিটর: দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক আপাতত শীতল, সেটির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটেও। আইসিসির টুর্নামেন্ট আর এশিয়া কাপ ছাড়া এখন ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ দেখা কঠিনই। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সৌজন্যে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর আরেকটা লড়াই দেখা যাবে ৪ জুন, এজবাস্টনে। এই ম্যাচ ঘিরে যখন দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে, কেদার যাদব তখন লাগাম দিচ্ছেন আবেগে। ১৫ ওয়ানডে ও ৪টি-টোয়েন্টি খেলা যাদবের কখনো খেলা হয়নি পাকিস্তানের বিপক্ষে। দুই দলের লড়াইয়ের ঝাঁজ তাই মাঠ থেকে দেখার অভিজ্ঞতাও হয়নি। তাঁর তো রোমাঞ্চিত থাকার কথা। কিন্তু প্রথমবার এমন ম্যাচ খেলতে নামার আগেও যাদব নিস্পৃহ। আবেগ নাকি কাজ করছে না তার মধ্যে। বরং এমন দাবিও করলেন, এই ম্যাচ আলাদা কিছু নয়। সব মিডিয়া আর সমর্থকদের সৃষ্টি! যাদব বলেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আবেগকে প্রশ্রয় দিতে চাই না। প্রতিটি ম্যাচ একই ছন্দে খেলা জরুরি। এটা পুরোই সমর্থকদের ব্যাপার। তারাই এই পরিবেশ তৈরি করে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হলে দর্শকেরা দেখতে আসে, সেটা ভালো। তবে ক্রিকেটাররা সব ম্যাচই সমানভাবে দেখে, প্রত্যেক দলকে সমান সমীহ করে।’ আইসিসির টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের রেকর্ডটা বরাবরই দুর্দান্ত। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে কখনো হারাতে পারেনি পাকিস্তান। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তিন লড়াইয়ে তারা ভারতকে দুবার হারিয়েছে। এবার কী হবে? যাদব এ আলোচনায় গেলেন না। প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলতে এসে বরং রোমাঞ্চের কথাই বললেন তিনি, ‘এটা আমার প্রথম আইসিসির টুর্নামেন্ট। অন্যদের তুলনায় তাই বেশি রোমাঞ্চিত। এমন একটা টুর্নামেন্টে খেলতে পেরে অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে।