দামুড়হুদার হেমায়েতপুরে পীরের মুরিদি গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায়
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার হেমায়েতপুর বেড়বাড়ি গ্রামে পীরের মুরিদি গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় শিউলী খাতুন (২৬) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার আহত গৃহবধূ শিউলী খাতুন বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো- আহত গৃহবধূ শিউলীর স্বামী বিল্লাল হোসেন, বিল্লালের পিতা বজুল, কথিত পীরের দু মুরিদ তরু বেগম ও আরিছন নেছা এবং ভণ্ডপীর লিয়াকত আলী।
উল্লেখ্য, আসামি বিল্লালের স্ত্রী শিউলী খাতুন ভণ্ডপীরের মুরিদি গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় তাকে গত ২৭ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই ভণ্ডপীর লিয়াকত আলীর হুকুমে স্বামী বিল্লাল, কথিত পীরের দু মুরিদ তরু বেগম ও আরিছন নেছা গৃহবধূ শিউলীর গলায় লাইলনের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশীরা ওই গৃহবধূর চিৎকারে বিল্লালের বাড়িতে ছুটে যায় এবং গৃহবধূ শিউলীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পিতার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে আহত গৃহবধূকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (চিৎলা হাসপাতালে) ভর্তি করা হয়। আহত গৃহবধূ বলেছেন, প্রায় মাস ছয়েক ধরে কথিত পীর লিয়াকত আলী তার দুই অনুসারী তরু বেগম ও আরিছনের মাধ্যমে তাকে মুরিদি গ্রহণ করতে বলে। আমি রাজি না হলে পরে আমার নেশাখোর স্বামী বিল্লালকে ফুঁসলিয়ে তার মুরিদি গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আমাকে কোনোভাবেই রাজি করাতে না পেরে শেষমেশ ওই ভণ্ডপীর লিয়াকত আলীর কথামত আমাকে গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার দুই অনুসারি তরু বেগম ও আরিছন এবং আমার স্বামী বিল্লাল আমার গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে পিতার বাড়িতে নিয়ে যায়। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ শিউলী আরও বলেন ভণ্ডপীর লিয়াকত আলী তার দু অনুসারীকে মোবাইলফোনে বলে ওকে মেরে ফেল। মামলা-মকদ্দমা যা হয় আমি দেখবো। আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার আগে যখন মোবাইলফোনে কথাগুলো হয় তা আমি নিজ কানে শুনেছি।