ইফতারির দোকানে ভিড় ॥ দামে নেই তেমন দীর্ঘশ্বাস
রহমান রনজু: পবিত্র রমজানের প্রথম দিন বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় ইফতারি বিক্রির দোকানগুলোও সাজানো ছিলো রকমারি ভাজাভুজিতে। ১৫ ঘণ্টার লম্বা দিনের রোজার প্রথম খরতাপ থাকলেও বাতাসে ছিলো শীতলতার ছোঁয়া। দাবদাহের বদলে নি¤œচাপের ধকল পোয়ানোর পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাছাড়া এবার বর্ষা একটু আগেভাগেই আসতে পারে বলেও আবহাওয়াবিদদের আশাবাদ। ফলে লম্বা দিনের রোজা হলেও শীতলতার ছোঁয়া দেবে স্বস্তি। আর ইফতারি? গতবারের তুলানায় এবার তেমন কিছুরই দাম বাড়েনি। বরঞ্চ ছোলার ঘুগনির দাম কিছুটা হলেও কমেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ইফতারির দোকানগুলোর অধিকাংশে ঘুরে পাওয়া গেছে অনেকটা অভিন্ন মূল্যতালিকা। পেঁয়াজু তিন থেকে ৫ টাকা পিস, চপের দাম তিন থেকে ১০ টাকা। বেগুনে এবার তেমন আগুন নেই। শাহী জিলাপে বাদশাহী আমেজ ধরে রাখলেও বাড়েনি দাম। এবারও স্বাস্থ্যবান জেলাপির দাম সেই ১০ টাকাতেই রয়েছে। পাটিসাঁপটা পিঠার দামও প্রায় অভিন্ন। বদে নাকি বুন্দে? নাম ওর যাই হোক দাম এবারও ১০ টাকা শ। কলার দাম খুব চড়া না হলেও ভালোটা নিতে গেলে নির্দিষ্ট আয়ের গৃহকর্তার পকেটে পড়ছে টান। খিরার দাম যাই হোক, এবার বাজারের বিক্রেতাদের ঝুড়িতে মিলছে ভালোই। ক্ষীরখেজুর? ওটা যে কতো রকম, তার ইয়ত্তা নেই। হরেক রকমের খেঁজুজেরর দামও হরেক কিসিমের। বিক্রেতারও খোদ্দেরের চেহারা দেখে উপযুক্ত দাম হেকে বাড়তি লাভের সুযোগ হাত ছাড়া করতে নারাজ। এতো কিছুর পরও গতকাল খোলাবাজারে বা হোটেলগুলোর সামনে সাজানো ইফতারি কিনে ফেরা রোজদারদের মধ্যে তেমন দীর্ঘশ্বাস ছিলো বলে মনে হয়নি। যদিও অনেকেই খোলাবাজার থেকে ভাজাপোড়া কেনার চেয়ে ঘরে গৃহিণীর তৈরি ইফতারির দিকেই ঝুঁকছেন স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা রূপছায়া সিনেমা হল সংলগ্ন বায়তুল মা’মুর জামে মসজিদসহ বেশ কয়েকটি মসজিদে পথচারীদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা রয়েছে।
অপরদিকে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি হয়নি। তবে বাতাসে ছিলো শীতলতার ছোঁয়া। এরপরও চুয়াডাঙ্গায় রাখা ব্যারোমিটারের পারদ গতকাল ওঠেছে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। নিচে ছিলো ২৭। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপটি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এ নি¤œ চাপ টেনে আনবে বর্ষা? নাকি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ঠেলে সরিয়ে ঘুরিয়ে দেবে বর্ষামেঘের মুখ? জানা যাবে আজ।