মাথাভাঙ্গা মনিটর: লড়াইটা দারুণ করছিলেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ। এই দুজনের ৮৭ রানের জুটিতে নিজেদের চাপটা উল্টো আয়ারল্যান্ডের দিকে ঠেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৩১.১ ওভারে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৫৭। তামিম অপরাজিত ৬৪ রানে, মাহমুদউল্লাহ ৪৩ রানে। যেখানে উইকেটে টিকে থাকাটাই কঠিন মনে হচ্ছিলো, তামিম-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং কিন্তু তা বললো না। এর আগে ধৈর্যের প্রতীক হয়ে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে রান করছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু অন্যপ্রান্তে সেই কাজটাই কেউ করতে পারছিলেন না। আত্মহত্যাই করেছেন বলা চলে সাব্বির-সাকিব-মুশফিকরা।
ব্যারি ম্যাকার্থির বলে অযথা খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক (১৩)। একটু পরে অবশ্য সে শটকেও মামুলি বানিয়ে দিয়েছেন সাকিব। তামিমের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিটা মাত্র জমে উঠেছিলো তার। ঠিক তখনই তার আক্রমণাত্মক সত্তা জেগে উঠলো সাকিবের। পিটার চেজের পরপর দুই বলে চার মেরেও ঠিক তৃপ্তি পেলেন না। অনেক বাইরের একটা বলে উইকেটকিপারের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন আজকের ম্যাচের অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে করেছেন ১৪। এর আগে সাব্বিরও বাজে শট খেলে আউট হয়েছিলেন। ৭০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর ৮৭ রানের জুটিতে তামিম-মাহমুদউল্লাহ কিন্তু বড় সংগ্রহেরই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
ডাবলিনের মালাহাইডের সবুজ উইকেটে বিপর্যয় দিয়েই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। টসে হেরে ব্যাটিঙে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৪ রান উঠতেই ফিরে গেছেন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। টানা দুই ওভারে দুজনকে ফেরান পিটার চেজ। উইকেট ঘাসে ঢাকা, মেঘলা কন্ডিশন-বাংলাদেশের জন্য কঠিন পরীক্ষা। বল সুইং করছে। তবে একেবারেই আনপ্লেয়েবল কন্ডিশন তো নয়! তবে কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ফায়দা নিচ্ছে আইরিশরা। চেজ ৪ রানে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। তার প্রথম ও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সৌম্য (৫) ফেরেন উইকেটের পেছনে পোর্টারফিল্ডকে ক্যাচ দিয়ে। চেজের পরের ওভারে মাত্রই উইকেটে আসা সাব্বির (০) তুলে মারতে গিয়ে টিম মুরটাগের হাতে ধরা পড়েন থার্ডম্যানে।