স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৭ সালের নির্বাচন এবং ফলাফল বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন সভাপতি পদে হেরে যাওয়া অভিনেতা ওমর সানী। শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ড বরাবর রোববার এনিয়ে লিখিত আবেদন করেন তিনি।
আবেদনে বলা হয়, গত ৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটারদের প্রদেয় ভোট সঠিকভাবে গণনা করা হয়নি। কারণ ভোট কাস্ট হয়েছে ৫৫৮টি, এর মধ্যে ৮৯টি ভোটই বাতিল বলে নির্বাচন বোর্ড জানিয়েছে। ঘোষিত ফলাফল অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি করে এতে বলা হয়, সভাপতি পদে তিনজনের ভোট যোগ করলে ৪৬৯টি হওয়া উচিত। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যায় ৫৫৬টি ভোট। আবেদনে আরও বলা হয়, অন্যান্য পদে প্রাপ্ত ভোটের যোগফল কোনোভাবেই বৈধ ব্যালটের সাথে মিলে না। কাযনির্বাহী মোট ভোট হওয়া উচিত ৫৬২১টি, কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে ৫৬৬৫ ভোট। তাহলে অতিরিক্ত ৪৪টি ভোট কোথা থেকে এলো? পাশাপাশি কোষাধ্যক্ষ পদে তিন প্রার্থীর মোট ভোট ৪৬৫টি। কিন্তু এটি ৪৬৯টি হওয়া উচিত বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আবেদনে অভিযোগ করা হয়, পদাধিকার বলে শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খান ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাকে জোরপূর্বক বের করে দেয় যা কোনোভাবেই কাম্য ছিলো না। আর বিকেলের দিকে অনেকেই এফডিসিতে ঢুকতে না পেরে ভোট না দিয়েই চলে গেছেন।
একটি পক্ষ নিজেদের স্বার্থে নির্বাচন বোর্ডকে প্রভাবিত করেছে দাবি করে ওমর সানী বলেন, এ অবস্থায় এরকম অসঙ্গতিপূর্ণ ফলাফলে সম্পূর্ণ কারচুপির আশ্রয় নেয়ায় এই ফলাফল বাতিল করে নির্বাচন বাতিলের আবেদন করছি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রযোজক নাসিরুদ্দিন দিলু এবং সদস্য হিসেবে প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু ও প্রযোজক শামসুল আলম দায়িত্ব পালন করছেন। আপিল বোর্ডের সদস্য খোরশেদ আলম খসরু বলেন, আমরা চিঠি পেয়েছি। বোর্ড সদস্যরা ৯ মে ভোট পুনর্গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গরমিল পাওয়া গেলে নতুন করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৬২৪ জন। এর মধ্যে ভোট দেন ৫৫৮ জন। মোট তিনটি প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। মিশা সওদাগর-জায়েদ খান, ওমর সানী-অমিত হাসান এবং ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা প্যানেল তিনটির নেতৃত্ব দেন। মোট ২১ পদের বিপরীতে ৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মিশা সওদাগর ২৫৯ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর সানী পান ১৫৩ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ২৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অমিত হাসান পান ১৪৫ ভোট।