দিল্লিতে নির্ভয়ার ধর্ষক ও হত্যাকারীদের ফাঁসি বহাল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতে প্যারা মেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল শুক্রবার চূড়ান্ত রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ওই চার অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য। এনডিটিভি জানিয়েছেন, ভারতের একটি দ্রুত বিচার আদালত ২০১৩ সালে ওই চার আসামির ফাঁসির রায় দিলে পরের বছর হাই কোর্টেও তা বহাল থাকে। ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত চার আসামি অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত ও মুকেশ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। কিন্তু ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তাদের আপিল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশই বহাল রাখে। জানা যায়, রাজধানী দিল্লিতে প্রায় ৫ বছর আগে ১৬ ডিসেম্বর ২০১২ সালে চলন্ত বাসে করে বাসায় ফিরছিলেন ২৩ বছর বয়সী নির্ভয়া ও তার এক বন্ধু। দক্ষিণ দিল্লী থেকে তারা সেদিন তাদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাসে ওঠে। এরপরই ৬ জন মিলে ওই ছাত্রী ও তার বন্ধুর ওপর আক্রমণ করে। পালা করে ধর্ষণ শেষে নির্ভয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে যাতে তার পেটের নারী ভুরি বেরিয়ে এসেছিলো। এরপর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ১৩ দিন পর নির্ভয়া মারা যান।
ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর সৌদি আরবে
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। গত বৃহস্পতিবার এই সফরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নতুন ফাউন্ডেশন গড়ার বিষয়ে কাজ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। পরে তিনি ইসরাইল ও ভ্যাটিকান সিটি সফরেও যাবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ন্যাটো এবং জি সেভেন সম্মেলনে ব্রাসেলস ও সিসিলিতেও যাবেন তিনি। হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্পের সফরের সময় আরব উপসাগরের অন্যান্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। সফর শেষে উগ্র ইসলামবাদীদের বিপক্ষে জোর তৎপরতা চালাতে বাস্তব ফল আসবে বলে ধারণা করেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানান, আরব দেশগুলোর সাথে একীভূত হয়ে কাজ করে উগ্র ইসলামবাদী ও ইরানকে শায়েস্তা করতে একটি ফ্রেমওয়ার্ক নির্মাণের চেষ্টা চলছে। এছাড়া মার্কিন মিত্র আরব দেশগুলোকে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদানের কাজও চলছে।
স্ত্রীসহ কোরীয় কূটনীতিককে পেটালেন পাক কর্মকর্তা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের করাচিতে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশটির শুল্ক কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা দলবল নিয়ে এ কাণ্ড ঘটান। এসময় ওই কূটনীতিকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই কূটনীতিক দম্পতির মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। ওই দম্পতি পাকিস্তানের শুল্ক বিভাগের প্রধানের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনা উত্তর কোরিয়ার সাথে পাকিস্তানের কূটনীতিক সম্পর্কের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ৯ এপ্রিল অন্তত ১০ কর্মকর্তা কোরিয়ার ওই কূটনীতিকের করাচির বাসায় যান। এসময় তাদের হাতে পিস্তলও ছিলো। ঘটনার দিন ওই কূটনীতিক ও তার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। ওই কূটনীতিকের স্ত্রীকে চুলের মুটি ধরে টানা-হেঁচড়া করা হয়।
কিমকে বিষ প্রয়োগে হত্যার ষড়যন্ত্রে সিআইএ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলো বলে অভিযোগ করেছে দেশটির সরকার। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, সিআইএ ও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে এই ষয়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো। বিবৃতিতে বলা হয়, কিমকে হত্যার জন্য তারা ‘কিম’ নামের আরেক উত্তর কোরীয় নাগরিককে ভাড়া করে। তিনি কিমের ওপর তেজস্ক্রিয় জৈব-রাসায়নিক পদার্থ বা বিষ প্রয়োগ করবেন। বিশেষত যখন কিম রাজধানীতে কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ওই মারাত্মক বিষ প্রয়োগের ছয় মাস বা এক বছর পরেও কাজ করে। কিম নামের ওই ভাড়া লোকটিকে এজন্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দেয়া হয়। এছাড়া তাকে একটি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার রিসিভারও দেয়া হয়েছিলো বলেও দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।
৩২ ঘণ্টা সাগরে ভেসেও বেঁচে গেলেন যুবক
মাথাভাঙ্গা মনিটর: জীবন সংগ্রামের তাগিদে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অনেক অভিবাসী দিনের পর দিন সাগরে ভাসেন। তাদের আশা, হয়তো উন্নত বিশ্বে গিয়ে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। এদের কেউ কেউ আবার সাগরের অথৈই জলে হারিয়ে যান চিরতরে। কিন্তু স্রেফ বিনোদনের জন্য সাগরে ভেসেছিলেন ব্রিটেনের নাগরিক ম্যাথিউ ব্রাইস। এরপরেই বিপদ নেমে আসে তার জীবনে, যার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। গত রোববার সকালে ব্রিটেনের আরগাইল উপকূলে এ ঘটনা ঘটে। ৩২ ঘণ্টার জন্য সাগরে হারিয়ে যান ম্যাথিউ। জীবনের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের জোরে ফিরে আসেন আবার বাবা মায়ের কোলে। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ২৩ বছর বয়সী ম্যাথিউ জানিয়েছেন তার ৩২ ঘণ্টার সংগ্রামের সব কথা। সার্ফিং করতে ব্রিটেনের আরগাইল উপকুল থেকে সাগরে যান ম্যাথিউ। কিন্তু শীঘ্রই তার সার্ফিং আনন্দ থেকে আতঙ্কে রূপ নেয়। তীব্র বাতাস আর ঢেউ তাকে উপকূল থেকে মাঝ সাগরে নিয়ে যায়। একটা পর্যায়ে সাগর তীরের এক মাইলের মধ্যে ফিরে আসতে সক্ষম হন তিনি। কিন্তু তারপরেই আবার সাগরের স্রোত তাকে নিয়ে যায় আরও গভীরে। এরইমধ্যে সুর্য ডুবতে শুরু করে। বিশাল সাগরে ম্যাথিউ তখন একেবারেই নিঃসঙ্গ। চারিদিকে কেবল সাগরের ঢেউ। ম্যাথিউর সন্ধানে তখন হেলিকপ্টার তল্লাশি চলছে সাগরের বিশাল এলাকাজুড়ে। কিন্তু ম্যাথিউ তখনো পর্যন্ত কোনো হেলিকপ্টার দেখেননি।