স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সভায় তুমূল হইচই-হট্টগোল হয়েছে। বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে রেখে নতুন কমিটি ঘোষণা নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রীত অতিথিদের প্রায় সকল।
সমিতির সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সভা চলে। সমিতির সভাপতি আসাদুল হাসান জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। তিনি বলেন, রাজস্ব কারও পকেটে যায় না। সারা দেশের মানুষ কর না দিলে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন হবে না। তবে করের হার সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবি যৌক্তিক। ব্যবসায়ী নেতারা অর্থমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বললে সমাধান হবে।
সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার। বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম, সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মহ. শামশুজ্জোহা, সমিতির আইন উপদেষ্টা সেলিম উদ্দিন খান, সমিতির সহসভাপতি শাহাবুদ্দীন মল্লিক ও উপ-কোষাধ্যক্ষ সেলিম রেজা প্রমুখ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যের আগে সমিতির ভোট পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী তছিরুল আলম মালিক ভোট ছাড়াই নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সদস্যদের রেখে ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির নাম প্রস্তাব করেন। তিনি মাইকে ঘোষণা দেন, প্রস্তাবিত কমিটিকে যারা সমর্থন করছেন, তারা হাত তোলেন। কিন্তু বেশির ভাগ সদস্য কোনো সাড়া দেননি। পরে তিনি বলেন, যারা সমর্থন করেন তারা ‘হ্যা’ বলেন। এ সময়ও বেশির ভাগ সদস্যকে নীরব থাকতে দেখা যায়। এরপরও তিনি ঘোষণা দেন, ‘হ্যা’ জয়যুক্ত হয়েছে। এই ঘোষণার পর তুমূল হইচই-হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। হট্টগোলের মধ্যেই সভাপতি মাইকে সভার কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অতিথিরা মঞ্চ থেকে নেমে যান। এরপর সদস্যদের একটি অংশ মঞ্চে উঠে সমিতির নেতাদের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদক প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন কমিটি করা হবে এবং এ জন্য সদস্যদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৯৯২ সালের ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা গঠিত হয়। বর্তমানে সদস্যসংখ্যা ৯৮০। বর্তমান কমিটি ২০১০ সালের মার্চ মাস থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছে।