স্টাফ রিপোর্টার: দেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদসহ দেশী ও বিদেশী শক্তি। দেশের স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রশাসন ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যেভাবে রাশিয়া প্রভাব খাটিয়েছে সেইভাবে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য ছক কষেছে আইএসআই। পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীরের তার বাবার সম্মাননা ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা, এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদন প্রকাশের ঘটনার পেছনে মদদদান, নির্বাহী বিভাগের সাথে অন্যান্য বিভাগের দ্বন্দ্ব সৃষ্টির চেষ্টা, স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের তৎপরতা সম্পর্কে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করে এ ধরনের ইঙ্গিত ও আলামত পেয়েছে ঢাকার এক বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর চাপের কারণেই পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীর তার বাবাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য দেয়া সরকারি সম্মাননা ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশে যাতে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় না আসতে পারে তারই নীল নক্সার অংশ হিসেবে পাকিস্তানী সাংবাদিক হামিদ মীরের এই ঘোষণা দেয়ানোর মাধ্যমে এ্যাসিড টেস্ট করছে আইএসআই। ২০০১ সালের কথা যখন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বাইরে রাখার জন্য আইএসআই বাংলাদেশে তাদের এজেন্টদের ২৫০ কোটি টাকা দিয়েছিল বলে পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা প্রকাশিত সংবাদ মতেই প্রকাশ পায়। আবার যে মুহূর্তে এদেশে আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় এবং ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত জোট, ঠিক সেই মুহূর্তেই বাংলাদেশ হয়ে উঠছে আইএসআই-এর ঘাঁটি। আইএসআই নিজেদের মতো করে এদেশে পরিচালনা করে তাদের ভারত-বিরোধী তৎপরতার সবচেয়ে বড় ক্যাম্পটি। সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে ভারত বিরোধী অপ-প্রচার ও তৎপরতার বিষয়টিও আইএসআই এর ছক অনুযায়ীই চলছে বলে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানান, বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো এবং নানাভাবে সহায়তার জন্য ২০১৩ সালে যে ৬৯ জন বিদেশিকে সম্মাননা দেয়া হয়েছিলো তার মধ্যে ১৩ পাকিস্তানী নাগরিকও ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীরের প্রয়াত বাবা অধ্যাপক ও সাংবাদিক ওয়ারিস মীরের নাম প্রথমে ছিলো না। তখন হামিদ মীর তার বাবা ওয়ারিশ মীরের সম্মাননা দেয়ার জন্য নিজেই বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি ও সম্মাননা দেয়ার সাথে জড়িতদের কাছে তদবির করেছিলেন। এখন আবার হঠাৎ করেই বাবার সম্মাননা ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর চাপ রয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীর তার বাবার সম্মাননা ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণাটির অনুসন্ধান করতে গিয়ে কোচে খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতো ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।