দাদার লাঠিঘাতে ৪ মাসের শিশু নাতি নিহত : রেফার করিয়ে নিথর দেহ নিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ

চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের গঙ্গাদাসপুরে আবাদ করা ধান ভাগ করা নিয়ে পিতা-পুত্রের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধে চরম খেসারত

 

স্টাফ রিপোর্টার: দাদার লাঠির আঘাতে আহত ৪ মাসের শিশু আল মিরাজ মারা যাওয়ার পর তার লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে দ্রুত কৌশলে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর লোকজন বলেছেন, শিশু হাসপাতালে মারা গেলে লাশ সরিয়ে নেয়ার কৌশল হিসেবে চিকিৎসককে দিয়ে রেফার করিয়ে নেয়া হয়। পরে লাশ শ্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধুযোগে জীবননগরের উদ্দেশে নেয়া হয়। পুলিশের চোখ এড়িয়ে রাতারাতি দাফন সম্পন্নের চেষ্টা চলে।

আল মিরাজ চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের গঙ্গাদাসপুর গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে। তাকে গতরাত ৮টা ৪০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান ভর্তি করে শিশু ওয়ার্ডে নেয়ার নির্দেশনা দেন। শিশু ওয়ার্ডের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুব হোসেন মিলন রোগীকে দ্রুত সার্জারি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দেন। সার্জারি ওয়ার্ডে নেয়া হয়। চিকিৎসাও দেয়া হয়। কিছুক্ষেণের মধ্যে নিথর হয়ে যায় শিশু আল মিরাজ। মারা গেছে বলে নাকে লাগানো অক্সিজেনের পাইপ খুলে নেয়া হয়। শুরু হয় কান্নাকাটি। আনুমানিক ২২ মিনিট কান্নাকাটির এক পর্যায়ে নিথর দেহ সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলে। অবশ্য এরই মাঝে চিকিৎসককে দিয়ে রেফার্ড করিয়ে নিয়ে শিশুর নিথর দেহ তোলা হয় শ্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধুতে। কোথায় নেয়া হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে নিথর শিশু নিয়ে আলমসাধু ছুটতে থাকে জীবননগরের দিকে।

শিশুর মাথায় গুরুতর আঘাত। মাত্র ৪ মাস বয়সে কার লাঠির আঘাতে নিহত হলো শিশু আল মিরাজ। এ তথ্য জানতে গেলে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় সাথে থাকা কয়েকজন বলেন, জমিতে এক সাথে আবাদ করা ধান নিয়ে পিতা মনজুর কাদেরর সাথে ছেলে ইকরামুলের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। ছেলে আল মিরাজকে কোলে নিয়ে এগিয়ে যায় ইকরামুলের স্ত্রী মাবিয়া খাতুন। এ সময় ক্ষুব্ধ মনজুর কাদের তার ছেলের স্ত্রী মাবিয়ার মাথায় লাঠি মারতে গেলে তা লাগে শিশু আল মিরাজের মাথায়। সাথে সাথে তাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। শেষ পার্যন্ত বাঁচাতে না পেরে লাশ দ্রুত দাফনের পক্রিয়া শুরু করে মনজুর কাদের ও তার লোকজন।